পাতা:ইস্তাহার (বিশ্বজ্ঞান প্রকাশনী).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আরশি

আরশি আমাকে দর্শন শেখায়। আত্মদর্শন।
আমার দেহ ক্ষীণ কিংবা স্থুল, চক্ষু কর্ণ নাসিকা
কিংবা অবয়বের খুঁটিনাটি তথ্যের সহজ পাঠ শেখায়।
আমার দৌর্বল্য হীনতা ভীরুতা কপটতা
উদারতা দাক্ষিণ্য প্রেম ভক্তি মমতা কাঠিন্য
ক্যামেরার লেন্সের মতো আরশির পটে অবিকল চিত্র
অবাক দৃষ্টিতে আমি দেখি। আরশি যেন কথা কয়
স্পষ্ট স্বরে দ্বিধাহীন নির্ভীক সৈনিকের মতো কঠোর ভাষায়।
চরিত্রবান আরশি ভান ভণিতা ভূমিকা জানে না।
মিথ্যের বেসাতি তার ঠিকুজীতে লেখা হয় নি।
সত্যের অকপট সাক্ষীর মতো সে আমার একক আদালতে
প্রকৃত দৃষ্টিতে সূর্যের নির্মল আলোয় সব মামলায়
স্পষ্ট ইঙ্গিতে নির্ভুল রায়ের নির্দেশ দেয়।

আমার ক্ষুদ্র হৃদয় যদি আরশির পারদে মাখা
প্রতিবিম্ব ধারণের যোগ্যতা কখনও পেত, অথবা
আমি যদি কোনদিন সাধারণ একখানা আরশি হতে পারতাম,
মানুষের মর্যাদায় সমাজের আকাশে তাহলে সত্যের সূর্যকে
আঙুল দিয়ে নিঃসংশয়ে নির্ভুলভাবেই চিহ্নিত করতে পারতাম।

৩৮