পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট কোন শক্তি নাই, যাহাকে দীর্ঘকাল সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ : রাখা যাইতে পারে। সুদূর ভবিষ্যৎযুগে প্রসারিত হইবে বলিয়া উহাকে অতি ল ধবিয়া একস্থানে সঙ্কুচিত কবিয়া রাখিতে পারা যার নী। / রাহুদী জাতিব অভ্যন্তরে অবস্থিত এই সমষ্টিভূত শক্তি পরবর্তী যুগে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের অভু্যদয়ে আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল। বিভিন্ন দেশ হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোত আসিয়৷ মিলিত হইয়। একটি ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী স্বজন করিল। এইরূপে ক্রমশঃ বহু ক্ষুদ্র, স্রোতস্বতীর সম্মিলনে বিপুলকায়। তরঙ্গশালিনী মহানদের উৎপত্তি। ইহার প্রবন্ধ তরঙ্গের শুভ্র শীর্ষদেশে নাজারেথবাসী যীশু সমাসীন রহিয়াছেন। } এইরূপে সকল মহাপুরুষই তাহদেব সমসাময়িক অবস্থাচক্রের ফলস্বরূপ, র্তাহাদেব নিজ জাতিব অতীতেব ফলস্বরূপ ; তাহার। আবার স্বয়ং ভবিষ্যৎযুগের স্রষ্ট। অতীত কারণ-সমষ্টির ফলস্বরূপ কাৰ্য্যাবলি আবাব ভাবী কার্য্যের কাবণস্বরূপ হয় । আমাদের আলোচ্য মহাপুরুষসম্বন্ধেও একথা থাটে । র্তাহার নিজ জাতির মধ্যে যাহ। কিছু শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম, ঐ জাতি যে উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য শত শত যুগ ধরিয়া চেষ্টা করিয়া আসিয়াছে, তাঙ্গই র্তাহগতে সাকগব বিগ্রহ ধাবণ কবিয়াছিল । আর তিনি স্বয়ং ভবিষ্যতের পক্ষে মহাশক্তিব আপার স্বরূপ—শুধু তাহার নিজঞ্জাতিব পক্ষে নহে, জগতের অন্যান্য অসংখ্য জাতির পক্ষেও তাহার জীবনের প্রেবণ মহাশক্তির বিকাশ করিয়াছে । আর একটি বিষয় আমাদিগকে স্মরণ করিতে হইবে যে, ঐ নাজারেথবাসী মহাপুরুষের বর্ণনা আমি প্রাচ্যদেশীয়গণের দৃষ্টি হইতে করিব। আপনার ইহা অনেক সময়েই ভুলিয়া যান যে, তিনি v