পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত মীশুখ্ৰীষ্ট সকল মহিমময় দৃষ্ঠে পরিবেষ্টিত হইয় প্রাচ্যদেশবাসীর সৌন্দৰ্য্য ও গাম্ভীর্য্যের প্রতি ভালবাসা এক সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে বিকাশপ্রাপ্ত হইল। উগ বহির্দৃষ্টি ত্যাগ করিয়া অন্তর্দৃষ্টিপবায়ণ হইল। কোথায়ও প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যসম্ভোগের অদম্য তৃষ্ণ, প্রকৃতির উপর আধিপত্যের তীব্র পিপাসা বিদ্যমান—তথায় ও উন্নতির জন্তু প্রবল আকাঙ্ক্ষ। বৰ্ত্তমান—গ্রীকের। যেমন অপর জাতিসমূহকে বর্বর বলিয়৷ ঘৃণা করিত, তথায়ও সেই ভেদবুদ্ধি, সেই ঘৃণার ভাব বিদ্যমান। কিন্তু তথায় জাতীয় ভাবের পরিধি অধিকতর বিস্তৃত। এসিয়ায় আজও জন্ম, বর্ণ বা ভাষা লইয়া জাতি সংগঠিত হয় না। তথায় একধম্মাবলম্বী হক্টলেই এক জাতি হয়। সমুদয় খ্ৰীষ্টিয়ান মিলিয়৷ এক জাতি, সমুদয় মুসলমান মিলিয়। এক জাতি, সমুদয় বৌদ্ধ মিলিয়। এক জাতি, সমুদয় হিন্দু মিলিয়া এক গতি L একজন বৌদ্ধ চীনদেশবাসী, এবং অপর একজন পারস্তদেশবাসীই হউক ন৷ কেন, যেহেতু উভয়ে একধৰ্ম্মাবলম্বী, সেই হেতু তাহার পরম্পরকে ভাই ভাই বলিয়। মনে করিয়া থাকে । তথায় ধৰ্ম্মই মানবজাতির পরম্পরের বন্ধনস্বরূপ, উহাই মানবের সম্মিলনভূমি । আর ঐ পূৰ্ব্বোক্ত কাৰণেই প্রাচ্যদেশীয়গণ পরোক্ষপ্রিয়—তাহার জন্ম হইতেই বাস্তব জগৎ ছাড়িয়া স্বপ্রজগতে থাকিতেই ভালবাসে । জলপ্রপাতের মধুৰ স্তবতর পতনশব্দ, বিহগকুলের কাকলী, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, তারা, এমন কি, সমগ্র জগতের সৌন্দর্য্য যে পরম মনোরম ও উপভোগ্য তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু প্রাচ্যমনের পক্ষে উহাই পৰ্য্যাপ্ত নহুে—উহ। অতীন্দ্রিস্বরাজ্যেব ভাবে ভাবুক হইতে চায় । সে বৰ্ত্তমানের-ইহ জগতের–গৰ্ত্তী ভেদ করিয়৷ তাহার অতীতপ্রদেশে যাইতে চায় ।

  • > 繫