পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট নহে যে, যত ইচ্ছ। টানিয়া বাড়ান যাইবে, আর উহারও একট। সীমা আছে ) তাহার কোন প্রয়োজন নাই। ধৰ্ম্মকে বর্তমানকালের ইন্দ্রিয়সৰ্ব্বস্বতার সহায়কস্বরূপ করিয়া লওয়া কখনই উচিত নহে । এটি বেশ বুঝিবেন যে, আমাদিগকে সরল ও অকপট হইতে হইবে। যদি আমাদের আদর্শ অনুসরণ কবিবাব শক্তি না থাকে, তবে আমরা যেন আমাদের দুৰ্ব্বলতা স্বীকার করিয়া লই, কিন্তু আদর্শকে যেন কথন থাট না করি—কেত যেন আদর্শটিকেই একেবারে ভাঙ্গিয়৷ চুরিয়া ফেলিবাবু চেষ্ট ন করেন। পাশ্চাত্য জাতিগণ খ্রীষ্টের জীবনের যে নানাবিধ ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ দিয়া থাকেন, তাহ শুনিলে হৃদয় অবসন্ন হইয় আসে। ইহাদেব বর্ণনা হইতে তিনি যে কি ছিলেন, কি না ছিলেন, কিছুই বুঝিতে পারি না । কেহ কেহ তাহাকে একজন মহা রাজনীতিজ্ঞ পুরুষ বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, কেহ বা তাহাকে একজন সেনাপতি বলিয়, অপর একজন স্বদেশহিতৈষী য়াহুদী, অপরে বা তাহাকে অন্তরূপ একটা কিছু প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু বাইবেল গ্রন্থে কি এমন কোন কথা আছে, যাহাতে আমাদেল উক্তবিধ সিদ্ধাস্তগুলির যাথার্থ্য ও ন্তায্যত প্রতিপন্ন করে ? একজন শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মাচার্য্যের জীবনের ও উপদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্য র্তাঙ্গর নিজের জীবন। এক্ষণে যীশু তাহার নিজের সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন, শুনুন। “শৃগালেরও একটা গৰ্ত্ত থাকে, আকাশচাৰী বিহঙ্গগণেরও নীড় আছে, কিন্তু মানবপুভ্রের (যীশুর ) মাথা গুজিবার এতটুকু স্থান নাই।” যীশুখ্ৰীষ্ট স্বয়ং এইরূপ ত্যাগী ও বৈরাগ্যবান ছিলেন, তবে তাহার উপদেশ ও শিক্ষ। এই যে, এই ত্যাগবৈরাগ্যই মুক্তির Y 8