পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট অধিকার থাকে না, তাহার যখন ‘আমি আমার বলিষার কিছু থাকে না, সে যখন সম্পূর্ণরূপে আত্মবিসর্জন করে, যেন নিজেকে মারিয়া ফেলে। আর এইরূপ অবস্থাপন্ন ব্যক্তির ভিতর স্বয়ং ঈশ্বর বিরাজমান। কারণ তাঙ্গর ভিতর হইতে অহং-বাসনা একেবারে চলিয়া গিয়াছে, নষ্ট হইয়াছে, একেবারে নিৰ্ম্মল হইয়া গিয়াছে। আমরা এখনও সেই আদর্শে পহুছিতে পালিতেছি না, তথাপি আমাদিগকে ঐ আদর্শের উপাসনা করিতে হইবে এবং ধীরে ধীরে ঐ আদর্শে পহুছিবার জন্য চেষ্টা করিতে হইবে, যদিও উগতে আমাদিগকে স্বলিতপদে অগ্রসর হইতে হয় । কল্যই হউক আর সহস্র বর্ষ পরেই হউক, ঐ আদর্শ অবস্থায় পহুছিতেই হইবে । কারণ, উহ! শুধু আমাদের লক্ষ্য নহে, উহ। উপায়ও বটে। নিঃস্বার্থপরতা, সম্পূর্ণভাবে অহংশূন্ততাই সাক্ষাং মুক্তিস্বরূপ ; কারণ, অঙ্গং ত্যাগ হইলে ভিতরের মানুষ মরিয়া যায়, একমাত্র ঈশ্বরই অবশিষ্ট থাকেন । আল এক কথা । দেখিতে পাওয়া যায় মানবজাতির সকল ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণই সম্পূর্ণরূপে স্বার্থশূন্ত । মনে করুন, নাজারেথবাসী যীশু উপদেশ দিতেছেন ; কোন ব্যক্তি আসিয়া তাহাকে বলিল – *আপনি যাহ উপদেশ করিতেছেন, তাহ অতি সুনার ; আমি বিশ্বাস করি, ইঙ্গাই পূর্ণতালাভের উপায়, আর আমি উগর অনুসরণ করিতে প্রস্থত । কিন্তু আমি আপনাকে ঈশ্বরের একমাত্র উৎপন্ন পুত্র বলিং উপাসনা করিতে পারিন না”—তাই চইলে সেই নাজারেথবাসী যীশু কি উত্তর দিবেন, মনে করেন ? তিনি নিশ্চিত উত্তর দিবেন,—“বেশ ভাই, তুমি আদর্শের অনুসরণ কর এবং নিজের ভাবে উহার দিকে অগ্রসর হও । তুমি ঐ উপদেশের

  • ζ