পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট পূৰ্ব্বাপেক্ষা প্রবলতর বেগে উঠিবার নিমিত্ত বলসঞ্চয়ের জন্ত কিছুকাল উহা বিলুপ্তপ্রায় বোধ হয়। বিভিন্ন জাতির ইতিহাস আলোচনা করিলেও চিরকালই এইরূপ উত্থানপতনেরই পরিচয় পাওয়া যায়। যে মহাত্মার—যে ঈশ্বরাদেশ বাহকের জীবনচরিত আমরা অদ্য অপরাহুে আলোচনায় প্রবুহু হইয়াছি, তিনিও স্বজাতির ইতিহাসের এমন এক যুগে আবিভূতি হইয়াছিলেন, যাহাকে আমরা নিশ্চিতই মহাপতনের যুগ বলিয়৷ নির্দেশ করিতে পারি। র্তমঙ্গর উপদেশ ও কাৰ্য্যকলাপেব যে বিক্ষিপ্ত সামান্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে, তাহা হইতে আমরা স্থানে স্থানে ইহার অল্পমাত্র আভাস প্রাপ্ত হই । বিক্ষিপ্ত সামান্ত বিবরণ বলিলাম—কারণ, তাহার সম্বন্ধে কথিত এই বাক্য সম্পূর্ণ সত্য যে, তাহার সমুদয় উক্তি ও কাৰ্য্যকলাপের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিতে পারিলে সমগ্র জগৎ তাহাতে পূর্ণ হইয়া যাইত। আর তাঙ্গার তিনবর্ষব্যাপী ধৰ্ম্মপ্রচারকালের মধ্যে যেন কত যুগের ঘটনা, কত যুগের ব্যাপার একত্র সংঘটিত হইয়াছে—সেগুলিকে প্রকাশ করিতে এই উনবিংশতি শতাব্দী লাগিয়াছে, আর কে জানে, সেগুলি সম্পূর্ণরূপে ব্যক্ত হইতে আর কতদিন লাগিবে ? আপনার আমার মত ক্ষুদ্র মানুষ অতি ক্ষুদ্র শক্তির আধার মাত্র । কয়েক মুহূৰ্ত্ত, কয়েক ঘণ্ট, বড় জোর কয়েক বর্ষ আমাদের সমুদয় শক্তিবিকাশের পক্ষে—উঙ্গর সম্পূর্ণ প্রসারের পক্ষে—পৰ্য্যাপ্ত। তারপর আর আমাদের কিছু শক্তি অবশিষ্ট থাকে না । কিন্তু আমাদের আলোচ্য মহাশক্তিধর পুরুষের কথা একবার ভাবিয়া দেখুন। শত শত শতাব্দী, শত শত যুগ চলিয় গেল, কিন্তু তিনি জগতে যে শক্তি সঞ্চার করিয়া গেলেন, ३