পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধামে এসে কায়মনোবাক্যে তঁাকে ডাকলে কোন বিপদ থাকে না। আমার মোহে অন্ধ, তাই বিপদ দেখে ভয়ে কাতর হই গিন্নী! বিপদভঞ্জন বিশ্বনাথের নাম ভুলে যাই ; আর সেই জন্য কত অকাৰ্য কুকাৰ্য্য করি। মা লক্ষ্মী, স্নান করে ত তোমার শরীর খারাপ বোধ হচ্চে না ? ঐ ভয়ে কাল কালীঘাটে তোমাকে গঙ্গাস্নান করতে দিই নাই।” লক্ষ্মী বলিল, “না। বাবা, আমি বেশ আছি। ঐ বাবুটী আমার জন্য কষ্ট করে খাবার আনতে গেলেন, তুমি যেতে দিলে কেন বাবা ?” “উনি যে তোমার বাবার কথা শুনলেন না। ওঁরাও মেয়ে আছে মা ! সন্তানের উপর মা-বাপের যে কি মমতা, তা যে উনি জানেন। আমিই তোমার পাষণ্ড পিতা !” বলিয়াই বড় কর্তা মুখ মলিন করিলেন । পিতার প্রসন্ন বদন দেখিয়া লক্ষ্মীর মনে যে শান্তি আসিয়াছিল, তখনই তাহা দূর হইয়া গেল ; তাহার নয়নদ্বয় অশ্রুপূর্ণ হইল। বড় কৰ্ত্ত লক্ষ্মীর মুখের দিকে চাহিয়াই বুঝিতে পারিলেন ; তাহার বড়ই অনুশোচনা হইল। তিনি বলিলেন, “লক্ষ্মী, মা আমার, তোমার এই বুড়া বাপের কথায় মনে কষ্ট কোরো না মা ! আমার কি আর এখন বুদ্ধি-বিবেচনা আছে। যাক, সত্যবাবু এলে তাকে বলে রাখতে হবে, তিনি যেন বিশ্বনাথের আরতি দেখাবার জন্য আমাদের সঙ্গে একজন লোক দেন । ঐ রমেশকে দিলেই হবে। দুই একদিন পথ দেখিয়ে দিলেই ଅନ୍ଧକ