পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোধ হয়েছিল ; তাই আজ তার যাওয়া ঠিক মনে হোলো না, আমরাও যেতে পারলাম না ।” “সে কথা আমাকে বললেই পারতে মা ! আমি এসে তোমাদের নিয়ে যেতাম, দিদি লক্ষ্মীর কাছে ঝি থাকত। যাক, কা’ল থেকে সে ব্যবস্থা করা যাবে।” লক্ষ্মী বলিল, “রমেশ দা, তোমার আর কে আছে ?” “আমার ? আমার কেউ নেই-আমি একেল মানুষ ।” “বেী, ছেলে-পিলে, মা-বাপ, কেউ নেই ?” “না দিদি লক্ষ্মী, কেউ নেই।” “সবাই মারা গেছে ?” “মা বাবা মারা গেছে। আমি যখন তিন বছরের, তখন এই কাশীতেই বাবা মারা যান । মা বাবা আমাকে নিয়ে তথ্য করতে এসেছিল ; এখানে এসেই বাবা মারা গেল । সঙ্গে কিছু টাকা ছিল । মা আর দেশে গেল না ; আমাকে নিয়ে এখানেই থাকল। তার পর আমার বয়স যখন দশ বছর কি এগার বছর, তখন মাও মারা গেল। তখন আর কি, আমি একেল। এই ছয় সাত বছরে মার হাতে যা ছিল, তা ফুরিয়ে গিয়েছিল। মা এক বাড়ীতে দাসীর কাজ করত, তাতেই আমাদের চলে যেত। সেই সময় আমি একটু বাঙ্গালা লেখাপড়া শিখি, বুঝলে দিদি লক্ষ্মী ! মা মরে গেলে আমি আর কি করব,-“এই চাকরী আরম্ভ করে দিলাম। আজও চাকরী কাল ও চাকরা-এই চল্লিশ বছর চাকরাই করছি-এই কাশীতেই আছি।” Sed R