পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মী জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা রমেশ দা, তুমি যে এই এতকাল চাকরী করেছ, মাইনে ত পেয়েছ ; সে সব টাকা কি করলে ?” “কি আবার করব ; সব টাকা জমিয়ে রেখেছি। শুনবে দিদি লক্ষ্মী, এখানে রামপ্ৰতাপ নেকামল বাবুর কুঠা আছে ;- ভারি বড় কুঠী । সেই কুঠার বাবুরা আমাকে বড় ভালবাসে ; কুঠার বুড়া-কৰ্ত্তা নেকামল বাবুর কাছে আমি অনেক দিন ছিলাম কি না ; যা মাইনে পেতাম, তা সব সেখানে জমা রাখতাম ।” “সেখান থেকে ছেড়ে এলে কেন ?” “সে কথা আর শুনো না ; মনিবের কি নিন্দে করতে আছে ? মনিব তা ভালই ছিল ; বাড়ী বড় বন্ধু। যাক গে, সেখান থেকে ছেড়ে এলাম। কিন্তু টাকা আর তুলে আনলাম না। অত বড় কুঠী, টাকা কি আর মারা যায়। তার পর যখন যা রোজগার করেছি, সব ঐ কুঠতে রেখে দিয়েছিএখনও রেখে দিই।” “আচ্ছা, সেখানে কত টাকা হয়েছে রমেশ দা !” “রমেশ দা তারই হিসেব করতে যায় কি না ! ও সব হিসেবটিসেব আমরা নেই। যা পাই রেখে আসি ;-ওরা ঠিকাবার লোক নয়। এই আর বছর ওদের বড় বাবু আমাকে ডেকে বললেন, ‘রমেশ, তোমার অনেক টাকা জমেছে ; এ টাকা কি করবে ? আমি বলিলাম আরও জামুক, শেষে একদিন তুলে GY), 8