পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশ হয়ে গেছে। এতকাল যে দেখেছে, শেষের কয়টা দিনও সেই দেখাবে। বেশ আছি দিদি । বেশ আছি। খাই-দাই, কাজকৰ্ম্ম করি, কোন ভাবনা নেই-ও সব জঞ্জালে রমেশ জানা सांgbछ मा ।” বড় কৰ্ত্তা এতক্ষণ এই সকল কথোপকথন শুনিতেছিলেন ; কোন কথাই বলেন নাই। এখন আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিলেন না ; বলিলেন, “লক্ষ্মী, কাকে কি উপদেশ দিচ্চ। রমেশ আমাদের মত মানুষ নয়-ও শাপ ভ্ৰষ্ট দেবতা। কলিকালে এমন জিতেন্দ্ৰিয়, এমন নিলোভী পুরুষ যে থাকতে পারে, তা আমি জানতাম না । লেখাপড়া না জানলেই যে মানুষ হয় না, তা নয় ;-এই রমেশ একেবারে মূৰ্ত্তিমান শ্ৰীমদভগবদগীতা, বুঝলে মা !” “ঠাকুর মশাই, কাশীতে এসেও পণ্ডিতি ছাড়লেন না। দিদি লক্ষ্মী, ওঁর কথা শুনো না । এই রমেশ যে দেখছি, এ শাস্ত্রর ও নয়, কিছুই না-একটা অপদার্থ-একটা সিং । কতজন কত সং সেজে বেড়ায়, রমেশ ও একটা সং সেজে বেড়াচ্ছে । তাই দেখে কেউ হাসে, কেউ ঠাট্টা করে, কেউ পাগল বলে। শোন দিদি, একটা গান শোন - ওস্তাদের গান—একেবারে মনের কথা বলা গান।”-এই বলিয়া রমেশ গান ধরিল— “কারে তুই দেখে রে সং, বল দেখি মন । হাসিস এমন হয় তা করে। > >や