পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিধু বলিল, “বেশ, তা পয়সা দেও।” রমেশ তাহাকে চারি আনা পয়সা দিয়া বলিল, “যাও ভাই সিধু, শীগগির ফিরে এস। পালিও না যেন।” সিধু বলিল, “আরো তুমি কও কি! রাধামাধব! নেশা করি বলে কি, আর ধৰ্ম্মজ্ঞান নেই। আমি এখনই আসছি।” এই বলিয়া সিধু চলিয়া গেল ; এবং একটু পরেই আসিয়া বলিল, “এই দেখ ভাই, আমি এসেছি। দেখ, একটু আগুনের ব্যবস্থা করে দেও, আর কিছুরই দরকার নেই।” সিধুকে পাইয়া রমেশের ভরসা হইল। সিধু বারান্দায় বসিয়া রহিল। রমেশ একবার ঘর, একবার বাহির করিতে লাগিল । এমন বিপদে সে কখনও পড়ে নাই । সন্ধ্যার সময় বড় কর্তা বেশী কাতর হইয়া পড়িলেন। রমেশ একটু-আদটুিকু নাড়ী দেখিতে জানিত। সে দেখিল, বড় কৰ্ত্তার নাড়ী ক্রমেই ক্ষীণ হইতেছে ; গিন্নীর নাড়ী যেন একটু সবল! সে তখন চুপে চুপে লক্ষ্মীকে ডাকিয়া বলিল, “দিদি লক্ষ্মী, কৰ্ত্তার অবস্থাই বেশী খারাপ ।” কথাটা বড় গিন্নীর কাণে গেল, অথবা তিনি ভাবেই কথাটা বুঝিয়া লইলেন ; বলিলেন, “রমেশ, তা তা হবে না-হতে পারে না বাবা ! আমাকেই যে আগে যেতে হবে।” রমেশ বলিল, “ও কি বলছেন মা ! আপনার নাড়ী বেশ ভাল । আপনার কোন ভয় নেই।” বড় গিন্নীর কথা জড়াইয়া আসিতেছিল ; তিনি বলিলেন, “ভয় > R