পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সব শেষ হইয়া গেল। দুই মিনিট আগে-পাছে দুইটী আত্মা চলিয়া গেল । রমেশ দাড়াইয়া এই দৃশ্য দেখিল ; এমন মরণ ত সে কখন দেখে নাই। এ যে সহমরণ-এ যে যুক্তি করিয়া প্ৰস্থান ! রমেশ কঁাদিয়া উঠিল ; “দেবতা, এই দেখাবার জন্য কি কাশী এসেছিলে ;-এরই জন্য কি রমেশকে ডেকে এনেছিলে-এত আদর করেছিলে ।” রমেশ মাটীতে বসিয়া বালকের মত কঁাদিতে লাগিল ; লক্ষ্মীও মায়ের বুকের উপর পড়িয়া রহিল। তখন সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে ; ঘর অন্ধকার । এই অন্ধকারে দুইটী মৃতদেহ লইয়া ঘরের মধ্যে দুইটী প্ৰাণী । সিধু বাহিরেই বসিয়া ছিল। অনেকক্ষণ কোন সাড়া-শব্দ না পাইয়া এবং ঘরের মধ্যে আলো না দেখিয়া সে ডাকিল, “ও রমেশ ভাই, অন্ধকার ঘরে বসে কি করিছ। ওঠে, আলো জ্বাল । সব শেষ হয়ে গেছে না কি ৷৷ ও রমেশ !” সিধুর ডাকে রমেশের চমক ভাঙ্গিল। সে ডাকিল,“দিদি লক্ষ্মী!” লক্ষ্মীর তখন উত্তর দিবার শক্তি ছিল না ; রমেশের ডাক তাহার কৰ্ণে গেল ; কিন্তু সে কথা বলিতে পারিল না। রমেশ আর কিছু না বলিয়া সেই অন্ধকারেই হাতড়াইয়া হারিকেন লণ্ঠন পাইল ; কিন্তু দিয়া সলাই কোথায়, তাহা খুজিয়া পাইল না । লক্ষ্মীকে এজন্য বিরক্ত করিতে তাহার ইচ্ছা হইল। না । সে লণ্ঠনটা হাতে করিয়া বাহিরে আসিল । 건 d BI