সিধু জিজ্ঞাসা করিল, “কি ভাই, ওদিকে সব শেষ বুঝি।” রমেশ বলিল, “সব শেষ সিধু দা ! তোমার কাছে দিয়া সলাই আছে ? আলোটা যে জালাতে হবে।” সিধু বলিল “আছে বই কি ৷” রমেশ আলো জালিয়া লইয়া ঘরের মধ্যে গেল ; দেখিল লক্ষ্মী সেই একই ভাবে মায়ের বুকের উপর পড়িয়া আছে। রমেশ বলিল, “দিদি লক্ষ্মী, ওঠ, আর কেঁদে কি করবে। যা করতে কাশীতে এসেছিলে, তা হয়ে গেল। হতভাগা রমেশকে যা দেখাতে এনেছিলে, তা দেখলাম। এখন আর কঁাদবার সময় নেই । সে সময় পরে ঢের পাওয়া যাবে । দেবতাদের সৎকারের আয়োজন ত করতে হবে । বাসি মড়া রমেশ বেঁচে থাকতে হতে দেবে না। এই রাত্রেই যেমন করে হোক সৎকার করতে হবে ।” লক্ষ্মী এইবার উঠিয়া বসিল । এখন ত কঁাদবার সময় নয়। পিতামাতার শেষ কাজ ত তাহাকেই করিতে হইবে । তার পর,-তার পর—সব অন্ধকার । লক্ষ্মী বলিল, “রমেশদা, এই রাত্রে কি উপায় হবে ?” রমেশ বলিল, “সে জন্য ভাবনা নেই, দিদি লক্ষ্মী | সৎকারের কথা বলছি ত ? সে আমি এখনই ঠিক করে ফেলছি। এই রাত্ৰিতেই সে ব্যবস্থা করতে পারব। কিন্তু একটা বড় ভাবনায় পড়েছি। এমন যে হবে, তা ত ভাবিনি। তা হলে দিনের বেলাতেই কুঠাতে গিয়ে টাকা আনতে পারতাম। এখন ত YVOo
পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।