পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি ঘুমিয়েছি, আমি তখনও জেগে । এমনই করে আমার দিনরাত কেটে গেছে।” রমেশ বলিল, “সে কথা এখন থাক, তুমি শোও লক্ষ্মী দিদি আমার ” লক্ষ্মী বলিল, “না। রমেশ দা, আজ ত আমি শোেব না। আজ তোমাকে আমার জীবনের কথা শুনতে হবে। শোন নি, মা মরবার আগে কতবার বলেছেন, আমি বড় হতভাগিনী । তাই অত করে তোমার হাতে আমাকে দিয়ে গিয়েছেন। তুমি না শুনলে আর কে আমার দুঃখের কথা শুনবে ?” “আজ নয় দিদি, আর একদিন শুনবো। আজ যে আমার কিছুই ভাল का?ाgछ मा ।' “না দাদা, সে হবে না। এখনও গঙ্গার ঘাটে গিয়ে দেখে এস, আমার মা-বাপের চিতা গরম রয়েছে ; এখনই তোমাকে শুনতে হবে। কে বলতে পারে, আর যদি সময় 2 श् ।।” রমেশ বলিল, “তুমি কি পাগল হলে দিদি লক্ষ্মী ! তোমার শরীর যে ভাল নয় ; একটু চুপ করে শোও।” লক্ষ্মী বলিল, “তোমার পায়ে পড়ি রমেশ দা, আমি ব্ৰাহ্মণের মেয়ে, আমার কথা রাখ। আজই তোমাকে সব বলি। তা হলে আমার বুক একটু হালকা হবে দাদা ।” রমেশ বলিল, “নিতান্তই যদি তোমার জেদ হয়ে থাকে, বল ; কিন্তু এখনও বলছি, এই অবস্থায় সারারাত জাগলে নিশ্চয়ই YNOR