পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“তা হলে এই ঠিক রইল। দুই-একদিন পরেই আমি বাড়ী চলে যাব। তারপর সব ঠিকঠাক করে আসতে আমার মাসখানেক-দেড়েক বিলম্ব হবে । সাতপুরুষের বাস-ভেঙ্গে আসতে হবে ; একটু দেরী হবেই। ততদিন তোমার উপর সব ভার । আমি টাকা রেখে যাব । এ বাড়ীতে যখন দাদা বড়-বেী দুজনই মারা গেলেন, তখন, এখানে আর থেকে কাজ নেই। আর একটা ছোট দেখে বাড়ী ঠিক কর । সেখানেই উঠে যাব । দেখ, আমি সব বেচে-কিনে চার পাঁচ হাজার টাকার বেশীই নিয়ে আসতে পারব। তারপর যা হয় দেখা যাবে।” রমেশ এ প্ৰস্তাবের কোন উত্তরই করিল না । সে বলিল, “যাক ও-সব কথা এখন, আপনি বিশ্রাম করুন। আমি দেখিগে ওরা রান্নাঘরে কি করছেন ।” এই বলিয়া রমেশ উঠিয়া গেল। এ প্ৰস্তাব সম্বন্ধে সে ত কিছুই বলিতে পারে না ; সেই রাত্ৰিতেই ত লক্ষ্মীকে * লইয়া সে পলায়ন করিবে ; কাশীর এক দূর প্রাস্তে সে ত বাড়ী ঠিক করিয়া আসিয়াছে ; জিনিষ পত্ৰও সামান্য সেখানে রাখিয়া আসিয়াছে । এ কয়দিন ত সে ঐ চেষ্টাতেই ফিরিয়াছে। আর হরেকৃষ্ণ যে এই কথা বলিবেন, তাহা লক্ষ্মী তাহাকে পূর্বেই বলিয়াছিল। এ প্ৰস্তাবে লক্ষ্মী যে কিছুতেই সন্মত হইতে পারে মা, তাহাও তাহারা স্থির করিয়াছিল । তাই রমেশ কোন মতই প্ৰকাশ করিল না । আহারাদি শেষ হইতে একটু রাত্ৰি হইয়া গেল। হরেকৃষ্ণ GC