পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাইবে । লক্ষ্মী তখন এ কাকিনী হইবে । এই সংসারের সহিত তাহাকে একাকিনী যুদ্ধ করিতে হইবে। ভরসা ভগাথানভরসা ঐ সর্বনিয়ন্ত বাবা বিশ্বনাথ !

  • লক্ষ্মী আর অধিকক্ষণ ।। ঘরের মধ্যে অপেক্ষা করিতে পারিল না, কি জানি যদি তাহার কাকী-মা হঠাৎ জাগিয়া উঠেন। তাঁহা হইলে তা তাহার। আর যাওয়া হইবে না । সে তখন ধীরেধীরে বারানদায় আসিয়া নিঃশব্দে দাড়াইল ।

রমেশ ও বাহিরে বসিয়াই আছে ; তাহারও অপার ভাবনা । জীবনের এই শেষ ভাগে এ কি বিষম, কি গুরুতর দায়িত্ব সে মাথায় লইতেছে। একবার মনে হইতেছে, কাজ নেই, লক্ষ্মীকে নিবৃত্ত করি, এ অন্ধকারে পা ফেলিয়া কাজ নাই। পরীক্ষণেই মনে হইতেছে, তাহার মা-ঠাকরুণের সেই অন্তিম অনুরোধতাহার মৃত্যুশয্যার কথা—প্ৰতিজ্ঞার কথা । শেষে তাহার. প্ৰতিজ্ঞারই জয় হইল। সে মনে মনে বলিল, “যা থাকে অদৃষ্টে তাই হবে। লক্ষ্মীদিদিকে লইয়া আমি আকুল সমুদ্রে ঝাপ দিব । এতদিন পরের ভাবনা ভাবি নাই, নিজের ভাবনাও ভাবি, নাই ;—এখন একবার পরের ভাবনাই ভাবি । আর আমিই বা ভাবতে যাই কেন ? আমি কে ? আমি কি ? কিছু না-কিছু না। ওরে “আমি”, তুই একটু সরে যা । তুই আমাকে এ কাজে বাধা দিবি ; তুই সঙ্গে থাকলে সব নষ্ট হবে। এস। ‘তুমি’-ওগো “তুমি”—সব কাজ করা-লক্ষ্মীকে রক্ষা কর। লক্ষ্মীর ভার 司3 ” G.