পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময় লক্ষ্মী বারান্দায় আসিয়া দাড়াইল । রমেশ উঠিয়া বলিল, “এসেছ দিদি লক্ষ্মী, চল । ঐ দেখ, বাবা বিশ্বনাথ পথ দেখাবার জন্য দাড়িয়ে আছেন। এই রমেশের মুখের দিকে চেয়ে না-চেয়ে না, তা হলে পড়ে যাবে,-এ পথে চলতে পারবে ন। চাও ঐ বিশ্বনাথের দিকে ! চল, চল, দিদি, তিনি পথের মধ্যে দাড়িয়ে আছেন ।” রমেশের কথা শুনিয়া লক্ষ্মীর শরীর রোমাঞ্চ হইল । সে বাহিরের দিকে চাহিল । তাহার মনে হইল, সত্যই বিশ্বনাথ পথের উপর দাড়াইয়া আছেন। আর ত দেরী করা চলে না । সে দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া লক্ষ্মী বলিল, “চল, রমেশ দাদা!” এই বলিয়াই একটু চুপ করিল। হায় অভাগিনী, এখনও মায়া —এখন ও কাকা ৷ লক্ষ্মী বলিল, “রমেশদা, কাকাকে একবার দেখে যাব না। —আমার কাকা-” কণ্ঠ রুদ্ধ হইল । কক্ষের দ্বার একটু খোলা ছিল। লক্ষ্মী দ্বার আর একটু খুলিল। হরেকৃষ্ণ বোধ হয় তখন স্বপ্ন দেখিতেছিলেন ; তিনি স্বপ্নঘোরেই বলিয়া উঠিলেন*ळ्ञ्श्ौ- ठ्यांशांद्र ।।” লক্ষ্মীর আর পা চলিল না। এ কি মায়া ! ওগো, এ কি খেলা ! লক্ষ্মী দুই-পা সরিয়া আসিয়া ভূমিতলে মস্তক ঠেকাইয়া বলিল, “कांक शाझे !” ' ' তাহার পরই কোন দিকে না চাহিয়া, রমেশকে ও না ডাকিয়া এক বিস্ত্ৰে বিনা সম্বলে, পথে আসিয়া দাড়াইল । 1. ○@b/