পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাতঃকালে হরেকৃষ্ণের প্রথমে নিদ্রাভঙ্গ হইল। তিনি উঠিয়া দেখেন, দ্বার খোলা রহিয়াছে। বারান্দায় আসিয়া দেখেন, রমেশ নাই। মনে করিলেন, রমেশ উঠিয়া কোথাও গিয়াছে। তখন ধীরে-ধীরে পাশের ঘরের দিকে গেলেন ; দেখেন সে ঘর৪ খোলা। দ্বারের নিকট হইতে ডাকিলেন “লক্ষ্মী !” শব্দ শুনিয়াই ছোটবধু তাড়াতাড়ি উঠিয়া বসিলেন। হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “লক্ষ্মী কৈ ?” ছোট-বধু বলিলেন, “বোধ হয় বাইরে গেছে। তাই ত সকাল হয়ে গেছে। লক্ষ্মী যে বলেছিল, রাত থাকতে উঠে, আমাকে নিয়ে গঙ্গাস্নানে যাবে।” এই বলিয়া খাটের উপর হইতে নামিতে গিয়াই দেখেন, বিছানার উপর একখানা চিঠি পড়িয়া আছে ; ছোট বন্ধু বলিলেন, “বিছানার উপর কার এ চিঠি !” এই বলিয়া চিঠিখানি তুলিয়া দেখিয়াই বলিলেন, “ওগো, এ যে তোমার নামে চিঠি, হাতের লেখা যে লক্ষ্মীর ” বলিয়াই তিনি বিছানার উপর বসিয়া পড়িলেন । “আমার নামের চিঠি ! লক্ষ্মীর হাতের লেখা !” বল কি ?” বলিয়াই হরেকৃষ্ণ ঘরের মধ্যে আসিলেন । ঘরে তখনও সামান্য অন্ধকার ছিল । তিনি চিঠিখানি লইয়া বাহিরে বারান্দায় আসিয়া পড়িতে আরম্ভ করিলেন। একটু পড়িয়াই বসিয়া পড়িলেন ; আর পড়া হইল না ; চীৎকার করিয়া বলিলেন “সৰ্ব্বনাশ হয়েছে, লক্ষ্মী চলে গিয়েছে। লক্ষ্মী, মা, লক্ষ্মী डांभांद्ध ।” NVo