পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন বলিলেন, “হরি, তোমাকে ত এ সব কথা আমি আগেই বলেছিলাম। তুমিই তা শুনলে না। এখন চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ত • ভেঙ্গে এলে। কৌলীন্য-মৰ্য্যাদা রক্ষা করতে হোলে, পালটী ঘর খুঁজতে হোলে,আমার লক্ষ্মীর ভাগ্যে ঐ রকম বরই মিলবে, আর অন্ত টাকাই দিতে হবে। তা ব’লে আর উপায় কি ! সেই জন্যই ত বলেছিলাম, মেয়ের বিয়ে দেওয়া আমাদের অদৃষ্টে নাই! তুমিই তা বোঝা না ভাই ।” হরেকৃষ্ণ দাদার কথার কোন উত্তর না দিয়া বলিলেন, “তার পর শোন বড় বেী, নবীনগর থেকে ত যাত্রা করলাম। একবার মনে হোলো, যাক, আর কোথাও যাব না, বাড়ী ফিরেই যাই। তার পর ভেবে দেখলাম, এতদূরই যখন এসেছি, তখন আর একটু ঘুরে শতখালির সেই ছেলেটীরও সন্ধান নিয়ে যাই। শুনেছিলাম, গোপীগঞ্জ থেকে শতখালি এই ক্রোশ দেড়েক হবে। গোপীগঞ্জের ঘাটে যেতেই ত একবেলা গেল। গোপীগঞ্জের বাজারে ফলার করে, একলাই চললাম শতখালি। দেড়ক্রোশ বই ত নয়। শীতলকে বলে গেলাম, সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরব । নগা সঙ্গে যেতে চাইল, তাকেও সঙ্গে নিলাম না । তার পর সেই রৌদ্রের মধ্যে জিজ্ঞাসা করে-করে ত চলতে লাগলাম। বাধা-রাস্তা ত নেই, মাঠ ভেঙ্গে পথ । আরো কিসের দেড় ক্রোশ-পথ আর শেষ হয়। না । এদিকে বোলা ও দেখি পড়ে যায়। বুঝলেন বড়দা, একেবারে পাকা পাঁচ ক্রোশ -এক রশিও কম নয়। আর পথ ত সেই সাঠ ভেঙ্গে, জমির আলোর উপর দিয়ে। যাক, সেই সাড়ে বারটার G