পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখ, এই মেয়েটার একটী কন্যা-সন্তান হবে ; তার লালনপালন, "শিক্ষাবিধানের ভার তোমাকে নিতে হবে। আর এই যে লক্ষ্মীর নাম শুনলে, সেই লক্ষ্মীকে সৰ্ব্বপ্রকারে লক্ষ্মী করে তুল বার কাজও তোমার উপর রইল। জিনিষ খাঠি, তোমরা দুটী কারিগরও ওস্তাদ ! দুইজনই মুক্ত। এখন কিছুদিন এই ব্ৰত তোমাদের নিতে হবে ; সাধন-ভজন, জপ-তপ-সর্বত্র এর বাড়া আর ধৰ্ম্ম নেই মা । তোমার যথেষ্ঠ অর্থ আছে। এই দ্বাদশ বৎসর তার একটি পয়সা ও তোমাকে স্পর্শ করতে দিই নাই ;-তোমাকে কঠোর করতে শিখিয়েছি । এখন যাও, সেই অর্থের সদ্ব্যবহার কর । এ মন্দির ত্যাগ কর । তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করছি, তুমি জয়যুক্ত হবে। তোমাকেও আশীৰ্ব্বাদ করছি। রমেশ, তোমারও জয় হোক। আমি সৰ্ব্বদা আসব, তোমাদের খোজ নেব । যখন যেমন করতে হবে, বলে যাব । দ্বাদশ বৎসর এই ব্ৰত পালন করতে হবে-একাগ্ৰচিত্তে পালন করতে হবে । তারপর যা ব্যবস্তা, দ্বাদশ বৎসর পরে আমি তা করব ।” এই বলিয়া সন্ন্যাসী গাত্ৰোত্থান করিলেন । ব্ৰহ্মচারিণী তাহাকে প্ৰণাম করিলেন-আজি ত আর তিনি ব্রহ্মচারিণী নহেন। রমেশের উন্নত মস্তক আজ নত হইল ; সে ও প্রথমে সন্ন্যাসী, তাহার পর এই দেবীকে প্ৰণাম করিল। সন্ন্যাসী দ্বিতীয় কথাটা ও না বলিয়া চলিয়া গেলেন ।