পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মী বলিল, “বিবাহ করিতে পারে না, বা করা উচিত নয়, একথা আমি বলছিনে ; কিন্তু যে হিন্দু সমাজ এখন বৰ্ত্তমােন, সে সমাজ কি অসন্ধুচিত চিত্তে এ বিবাহের অনুমোদন করতে পারবে ? এই আমার কথা ।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “আমি ত সে কথার উত্তর পূর্বেই দিয়েছি। ভারতবর্ষে নুতন ব্ৰাহ্মণ-সমাজ গঠিত হতে আরম্ভ করেছে। সে সমাজ ন্যায় ও ধৰ্ম্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ;-সে সমাজ দেশাচারকে ডরায় না, ডরাবেও না । আচ্ছা, তোমাকেই জিজ্ঞাসা করি, তোমার অপরাধ কি ? কি অপরাধে সমাজ তোমাকে ঠেলে ফেলতে পারে ? তুমি কি অসতী ?” সরস্বতী গজিয়া উঠিলেন, “অসতী ! লক্ষ্মী আমার সতীশিরোমণি । লক্ষ্মী রমণীর আদর্শ । তার গর্ভে যে জন্মগ্রহণ করেছে, তার পিতৃপরিচয়ের কোন দরকার নাই—মাতৃ-পরিচয়ে, মাতৃ-মহিমায় আমার ঈশানী ইন্দ্ৰাণী অপেক্ষা ও উচ্চ পদের দাবী করতে পারে।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “ঠিক বলেছ। সরস্বতী ! মা লক্ষ্মী, তোমাকে কিছু ভাবতে হবে না। তোমার ঈশানীকে আমি যার হাতে সমৰ্পণ করব, সে এই অমূল্য রত্বের আদর বুঝতে পারবে। তার কাছে ও-সব পরিচয় অতি তুচ্ছ ব’লে গণ্য হবে।” লক্ষ্মী বলিল, “তা হলে আমাকে এখন " কি করতে বলেন ?” সরস্বতী সে কথার উত্তরে বলিলেন, “আর কি করতে বলবেন, s S ዓዓ