পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্বদা বিশ্বনাথের খবর লইতেন । বিগত ছয় বৎসর তিনি নিজেই বিশ্বনাথের শিক্ষার ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তঁহারই শিক্ষাবিধানের গুণে বিশ্বনাথ একদিকে যেমন পরীক্ষায় বিশেষ যোগ্যতার সহিত উত্তীর্ণ হইতে লাগিল, অপর দিকে তেমনই ংস্কৃত সাহিত্য, দর্শন প্রভৃতিতেও কৃতিত্ব লাভ করিতে লাগিল ; সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মের উপর তাহার তেমনই প্ৰগাঢ় শ্ৰদ্ধা বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল । এই সময় সন্ন্যাসী মধ্যে মধ্যে বিশ্বনাথকে ব্ৰহ্মচারিণীর আশ্রমে লইয়া যাইতেন এবং ঈশানীর সহিত নানা বিষয়ের আলোচনায় নিযুক্ত করিতেন। উভয়ের মধ্যে একটা প্রীতির সম্বন্ধ যাহাতে স্থাপিত হয়, পরস্পর পরস্পরের গুণের অনুরাগী হয়, সে বিষয়ে ও তিনি সচেষ্ট ছিলেন । ভুবন বাবু একমাত্র পুত্রের বিবাহের প্রস্তাব গুরুদেবের নিকট একদিন উপস্থিত করায়, সন্ন্যাসী বলিয়াছিলেন “ভুবন, যাহাকে আমি মানুষ করিতেছি, তাহার সকল ভার আমার উপর। তুমি ছেলের বিবাহ সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত থাকি ; যথাকালে সে ব্যবস্থা করিব ; এখন তাহার শিক্ষালাভের বাধা জন্মাই ও না ।” গুরুভক্ত ভুবন বাবু ও তঁহার সহধৰ্ম্মিণী এই কথায় সন্তুষ্ট ও নিশ্চিন্ত হইলেন ; গুরু যখন ভার গ্ৰহণ করিলেন, তখন আর কথা কি ? পূৰ্ব্ব-অধ্যায়-বর্ণিত কথোপকথনের দিনই অপরাহু সময়ে সন্ন্যাসী ভুবন বাবুর বাড়ীতে যাইয়া তাহাকে 》ゲ●