পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহিত, প্ৰকৃত ব্ৰহ্মতেজগর্বিতা দেবীর গর্ভজাত কুমারীর সহিত আমি তোমাদের বিশ্বনাথের বিবাহ দিতে প্ৰস্তুত হইয়াছি। ভুবন, মনে করিয়া দেখ, তোমার পুত্রের নামকরণের কথা। আমিই তাহার বিশ্বনাথ নামকরণ করিয়াছিলাম। আজ সেই নাম সার্থখক করিতে যাইতেছি । যে বিশ্বনাথ, সে ঈশানীকে গ্ৰহণ করিবে না। কেন ? বিশ্বনাথ গ্ৰহণ করিবে, তাহা আমি জানি ; আর তোমরাও যে তোমাদের সেই পুতিগন্ধময় সমাজ-শাসন না মানিয়া এই প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করিবে,তাহা আমি জানি । এই আজই লক্ষ্মীকে যখন এই কথা বলিলাম, তখন সে তোমাদের হইয়াই সমাজের কথা তুলিয়াছিল। আমি তাহার কথার উত্তরে যাহা বলিয়াছি, সে কথা তদিন, কত প্রকারে তোমাকে বলিয়াছি ভুবন । যে সমাজ মিথ্যা, কপটতা, ব্যভিচারের প্রশ্রয় প্ৰদান করে, যে সমাজ পাপ গোপন করিবার জন্য কত গৰ্হিত উপায় অবলম্বন করে, যে সমাজের কলঙ্ককালিমায় বিশ্বনাথের এই পবিত্ৰ কাশীধাম প্ৰতিদিন মসীময় হইতেছে, যে সমাজ মান-সন্ত্রম রক্ষার জন্য লক্ষ্মীকে ভ্ৰাণহত্যা করাই- . বার ব্যবস্থা করিয়াছিল, সেই সমাজের মুখের দিকে আর চাহিতে পরিবে না। ;-সে সমাজ যাইতে বসিয়াছে। তার স্থানে আসিয়া পড়িয়াছে আর এক ব্ৰাহ্মণ-সমাজ ;-আসিয়া পড়িয়াছে ভুবন । তোমরা সেই সমাজের অগ্ৰণী ! তোমরা মিথ্যা, কপট আচরণ করিতে পরিবে না। প্ৰকাশ্যভাবে বল যে, লক্ষ্মীর কন্যার সহিত তোমার পুত্রের বিবাহ দিবে, কোন কথা গোপন করিতে পারিবে: না । যাহারা এখনও পুতিগন্ধময় সমাজের শব বুকে করিয়া, চক্ষু S7 S.