পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ সমাজের কথা বলিব না ; কিন্তু সনাতন আৰ্য্য-সমাজ, আমাদের পূজনীয় মুনিঋষিগণের সমাজ এ সম্বন্ধে,ঠিক এই ঈশানীরই অনুরূপ একটী ঘটনা সম্বন্ধে কি বলিয়াছিলেন, শুনিবে? ভুবন, তুমি কি মহাভারতে সত্যকাম-জবালার কথা পড় নাই। মা, শোন সেই উপাখ্যান। জবালার পুত্র-একমাত্ৰ সন্তান সত্যকাম গৌতম ঋষির নিকট ব্রহ্মবিদ্যা লাভের আশায় শিষ্যত্ব করিবার জন্য গিয়াছিল। ঋষি তাহার নাম-ধাম, গোত্ৰ প্ৰভৃতির পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। বালক সত্যকাম বলিল “ঠাকুর আর কোন পরিচয় জানি না ; এইমাত্ৰ জানি, আমি আমার মা জবালার পুত্র।” এই কথা শুনিয়া। গৌতম ঋষি বলিলেন ‘বৎস,আমি ব্ৰাহ্মণ-সন্তান ব্যতীত অন্য কাহাকেও ব্রহ্মবিদ্যা সম্বন্ধে উপদেশ প্ৰদান করি না। তুমি তোমার মাতার নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া আইস, তোমার পিতার নাম-গোত্ৰ কি ?” সত্যকাম তখন মাতার নিকট উপস্থিত হইয়া তাহাকে সমস্ত কথা বলিল। এই কথা শুনিয়া জবালা অমান-বদনে, অসঙ্কুচিত-চিত্তে, বলিলেন, “বাছ, ঋষিপ্রবারকে বলিও, আমি যৌবনকালে বড় দরিদ্র ছিলাম। সেই সময় অনেকের উপাসনা করিয়াছি ; সুতরাং কে তোমার পিতা ; তাহা ত আমি বলিতে পারিব না।” সত্যকাম তখন গৌতম ঋষির সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বলিল, “প্ৰভু, মা বলিলেন, তিনি যৌবনে অনেকের উপাসনা করিয়াছেন ; সুতরাং আমার পিতা কে, তাহা তিনি বন্দিাতে পারেন না।” এই কথা শুনিয়া গৌতম কি বুলিয়াছিলেন, তাহা শুনিবে কি ? ংস্কৃত শ্লোক উদ্ধত করিয়া সে কথা বলিব না; তোমাদেরই একজন (۱ ماه