পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজী নয়। অনেক বলা-কহয় তবে রাজী হয়েছে। তার পর বললেন যে, কুলীনের মেয়ে আর কয়টাই বা শ্বশুরের ঘর করতে পায়। আমার ভাইঝি যখন সেই দুলভ অধিকার পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তার যখন সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হবার সম্ভাবনা নেই, তখন দেনা-পাওনা সম্বন্ধে বিশেষ বিবেচনা করতে হবে। কথা শুনেই আমার মুখ শুকিয়ে গেল। এই বিশেষ বিবেচনাটা কি, জানিবার জন্য আগ্ৰহ প্ৰকাশ করায় তিনি বললেন, পাচটা হাজার টাকার কমে তিনি কিছুতেই ছেলের বিবাহ দেবেন না। আমি অনেক কাকুতি মিনতি করলাম ; ব্ৰাহ্মণের একেবারে ধনুকভাঙ্গা পণ । তখন আর কি করি, এত রাত্ৰে পাচ ক্রোশ পথ ত আর হঁটিতে পারব না । হৃষী গাঙ্গুলী মহাশয় আমাকে তার বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। চাটুযো মহাশয় ও তার ওখানেই থাকবার জন্য অনুরোধ করলেন ; আমি তাতে সন্মত হ’লাম না। বাড়ীতে এসে গাঙ্গুলী মহাশয় বললেন “শোন হরেকৃষ্ণ, ও বাড়ীতে ব’সে ছেলেট সম্বন্ধে যা বলেছি, তা মিথ্যে নয় ; কিন্তু একটী কথা বলি নাই। এ ছেলের সঙ্গে তোমার ভাইঝির বিয়ে দি ও না। আমার খুব সন্দেহ হয়েছে যে, ছেলেটার কুণ্ঠরোগ হয়েছে। ওদের সুমুখে ত সে কথা বলা যায় না, তাই তোমাকে বাড়ীতে নিয়ে এলাম। তোমাদের সঙ্গে বহুদিনের পরিচয়—আত্মীয়তা বললেই হয়। জেনে-শুনে এমন কাজ করতে কি করে বলি। আর, তার পর খাই ত দেখলে । -পাচ হাজার টাকা ।” তখনই ও ছেলের চিন্তা ছেড়ে দিলাম। রাত্রিটা কাটিয়ে ভোর