পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তন আৰ্য-ধৰ্ম্মের মহিমার দিকে চাহিয়া বল তোমরা, এ কাৰ্য্য করিতে পরিবে কি না ?” ভুবন ও তঁহার সহধৰ্ম্মিণী সন্ন্যাসীর পদধূলি গ্ৰহণ করিয়া কলিলেন, “হ’ব পারিব, নতুবা আপনার শিষ্য হইবার আমরা অযোগ্য ।” এই সময় রমেশ সেখানে প্ৰবেশ করিল । তাহাকে দেখিয়া ভুবন বাবু বলিলেন “এই যে রমেশ ! এস, এস।” রমেশ সহাস্য মুখে বলিল, “আমি খালি হাতে আসিনি, কুটুম্ববুড়ীতে কি আমনি আসে, তত্ত্ব এনেছি।” ভুবন বাবু বলিলেন, “কৈ তোমার তত্ত্ব রমেশ !” রমেশ বলিল, “নীচে আছে। রমেশ কি আর এখন হেটে চলে , গাড়ী করে এসেছে। হুকুম হয় তা তত্ত্ব নিয়ে আসি ৷” এই বলিয়া আদেশের অপেক্ষা না করিয়াই রমেশ নীচে চলিয়া গেল এবং একটু পরেই পুনরায় উপস্থিত হইল-সঙ্গে সরস্বতী, লক্ষ্মী ও ঈশানী । রমেশ বলিল, “এই নিন। আপনাদের তত্ত্ব । আজ বার বছর ধরে বুড়ো এই তত্ত্ব গুছিয়ে আসছে ; আজ কুটুম্ববাড়ী পৌছে দিয়ে রমেশের ছুটী । ওরে বেটার, কৈ রে, শাখ বাজা!” ভূবন বাবুর সহধৰ্ম্মিণী তাড়াতাড়ি উঠিয়া ঈশানীকে বুকের মধ্যে জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন “এস, এস মা, আমার ঘরের কল্যাণী এস ! আমার অন্নপূর্ণা এস মা !” እlጋ”፰9