পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরস্বতী তোমাদের মায়ায় আমি আর ভুলছিনে। আমি তোমাদের আশীৰ্ব্বাদের মধ্যে নেই। ঈশানী। এতক্ষণ সরস্বতীর পার্শ্বে বসিয়া ছিল ; এই সময় সে হঠাৎ উঠিয়া আসিয়া রমেশের কোলের কাছে বসিল । রমেশ আমনি হাসিয়া উঠিয়া বলিল, “ওরে সর্বনাশী, আমন করে তুই আমায় জড়িয়ে ধরিসনে। দেখুন দেখি ঠাকুর মশাই, আমি চাচ্ছি। ওকে ঝেড়ে ফেলতে, আর ও কিনা আমারই কোলের কাছে এসে বসবে-আমাকে শত বাধনে জড়াবে। ওরে রাক্ষুন্সী, তুই কি রমেশকে পালাতে দিবি নে। দেখছেন ঠাকুরমশাই, - মেয়েটার হাসি ! ওই হাসিতেই তা আমার সব ভুলিয়ে দেয়। আজ বার বছর আমাকে ভুলিয়ে রেখেছে। হাস, হাস, মা আমার, খুব হাস্য! আমি ঐ হাসি দেখতে দেখতেই যেন মরি। যাক, বেশ বুঝলাম, রমেশ এখন তার সব ঐ মেয়েটার কাছে বিকিয়ে দিয়েছে। আর কোন কথা বলব না। দাও না গো, কি দিয়ে বাবা বিশ্বনাথকে আশীৰ্ব্বাদ করতে হবে, দাও । দিদি। লক্ষ্মী, সরস্বতী, তোমরা পথ পেয়েছ ; তোমরা তোমাদের পথে যাও । আমার পথ এই ঈশানী-বিশ্বনাথ । সন্ন্যাসী তখন একটী বেলের পাতা। রমেশের হাতে দিয়া বলিলেন, “রমেশ, বাবা বিশ্বনাথ বেলের পাতাতেই সন্তুষ্ট। তুমি তাই দিয়েই আশীৰ্বাদ কর।” রমেশ তখন সেই বেলের পাতা দিয়া বিশ্বনাথকে আশীৰ্ব্বাদ V ֆՀND