পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীরব হইল, তখন বলিলেন, “মা লক্ষ্মী, আজ আমার পরাজয় । আমি মানব-চিত্তের রহস্য এতকাল বুঝিতে পারি নাই ;-মাতৃত্বের মহত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি নাই। আজ বুঝিলাম, কেন তোমরা বিশ্বজননী!” কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন, “মা লক্ষ্মী, তোমার জন্যে আমি যে পথ নির্দেশ করিয়াছি, সেই শ্রেষ্ঠ পথ ; --তোমাকে সেই পথেই যাইতে হইবে । কিন্তু বড় তাড়াতাড়ি তোমাকে অগ্রসর করিয়াছিলাম। ঈশানীর মধ্য দিয়াই তোমাকে জগতে সম্প্রসারিত করা। কৰ্ত্তব্য ছিল। বেশ, তাহাই হইবে। তুমি এখানেই থাকি লক্ষ্মী ! ঈশানী আজ হইতে তোমার কন্যা । তাহার পর যাহা করিতে হয়, পরে হইবে। মা জগদম্বা, তোমার খেলার আর একটা দিক আজ দেখিলাম-শিখিলাম ।” তলহার পর সরস্বতী ও রমেশকে বলিলেন, “দেখ সরস্বতী, ঈশানীর বিবাহের যথাযোগ্য আয়োজন কর । তোমার যাহা কিছু অর্থ আছে, এই বিবাহে সমস্ত ব্যয় করিয়া তোমাকে একেবারে কপৰ্দক-শূন্য হইতে হইবে । রমেশ, তোমার উপর সমস্ত আয়োজনের ভার দিলাম। ঈশানীর বিবাহ হইয়া গেলে তোমাদের সম্বন্ধে যাহা কৰ্ত্তব্য, তাহা আমি করিব ; তোমরা সে চিন্তা করি ও না ।” এই বলিয়া সন্ন্যাসী চলিয়া যাইতে উদ্যত হইলেন । তখন লক্ষ্মী বলিল, “প্ৰভু আর একটা কথা ।” সন্ন্যাসী হাসিয়া বলিলেন, “কি কথা মা ! তোমার কাকা হরেকৃষ্ণের সন্ধান লইবার কথা ত । তাহাকে আনিবার জন্যই δ το No