পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“মেয়ে কয়জন স্বামীর ঘর করতে পায়। লক্ষ্মীর অদৃষ্ট দেই, তোমরা কি করবে বল। ও লক্ষ্মী, মা, তোদের কতদূর।” লক্ষ্মী রান্নাঘর হইতেই বলিল, “আর দেরী নেই মা । শীতলদাকে খান দুই পাতা কেটে আনতে বল।” নগা বলিল, “পিসিমা, পাতা আমরা নৌকো থেকে নিয়ে এসেছি ; রাত্তিরে কি গাছের গায়ে হাত দিতে আছে।” হরেকৃষ্ণ সহাস্যবিদনে বলিলেন, “লক্ষ্মী, জেলের ছেলের কাছে शांरठgद्ध एक 66वि ।” লক্ষ্মী বলিয়া উঠিল, “শাস্ত্ৰে আর ও-সব পাতা-কাটার পাতি নেই কাকা । ও সবই তোমাদের হাতে-গড়া।” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “হাতে-গড় যে, সে ঠিক কথা ; কিন্তু ওর মানে আছে মা ! শাস্ত্ৰই বল, আর দেশাচারই বল, অনেক চিন্তা করে, অনেক ভেবে তা দেশে প্ৰচলিত হয়েছে।” বড় গিন্নী বলিলেন, “এত রাত্রে আর শাস্ত্ৰ-কথায় কাজ নেই, এখনই মেয়ে এসে তর্ক জুড়ে দেবে, রান্না-বাড়া বন্ধ হয়ে যাবে। লক্ষ্মী মা, শাস্ত্ৰ কা’লা হবে, এখন শীগগির করে ভাত বেড়ে দে ; তোর কাকার যে সারাদিন পেটে অন্ন পড়ে নাই ।” রান্নাঘরের বারানদায় আলো দেখিয়া ও পিড়ি পাতিবার শব্দ শুনিয়া বড়গিয়ী বলিলেন, “ঠাকুরপো, দুটো যা হয় মুখে দেও।” এই বলিয়া তিনি উঠিতে গেলেন। হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “বড় বীে, তোমার ঘের, তুমি আর যােচ্ছ কেন ? তুমি বোস।” “সামান্য একটু জ্বর, তার জন্য কি হবে, চল।” এই