পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাতেই এক রকম গ্ৰাসাচ্ছাদন চলে । বড় কৰ্ত্তা রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের পণ্ডিত বলিয়াও খ্যাতি আছে । কালেভদ্রে ব্যবস্থা-পাতি দিয়া কিঞ্চিৎ পাইয়াও থাকেন। ছোট কৰ্ত্তা হরেকৃষ্ণ জমিজমা দেখেন, ঘরগৃহস্থালীর কাজকৰ্ম্ম করেন। বাড়ীতে ছেলেপিলের মধ্যে বড়কর্তার এক কন্যা লক্ষ্মী-বাপের আদরিণী, কাকার নয়নের মণি ও কাকীর ছায়াস্বরূপিনী, গৃহস্থের আনন্দ্ৰদায়িনী, পাড়া-প্রতিবেশীর চক্ষে সত্যসত্যই লক্ষ্মীস্বরূপিনী। এমন সুরূপ, সুশীলা মেয়ে কৌলীদ্যে আট ঘাটবাধা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে কেন জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, তাহা দিন-দুনিয়ার মালিক বলিতে পারেন। অনেক পিতামাতা আদর করিয়া চক্ষুহীন সন্তানের পদ্মলোচন নামকরণ করিয়া থাকেন ; অনেক মসীকৃষ্ণ পুরুষকে গোরাচাদ নামে অভিহিত তইতে দেখিয়াছি ; কিন্তু র্যাহারা রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের কন্যার লক্ষ্মী নামকরণ করিয়াছিলেন, তাহারা নিশ্চয়ই চক্ষুষ্মান ব্যক্তি,-লক্ষ্মী প্রকৃতই লক্ষ্মী ; রূপেও লক্ষ্মী, গুণেও লক্ষ্মী,-আদৃষ্টে কিন্তু লক্ষ্মীছাড়া, তাহা পূর্বেই বলিয়া রাখিলাম। তাত না হইলে এরূপ মেয়ে কি বাঙ্গালাদেশে রাঢ়ীশ্রেণীর বরেণ্য কুলীন-গৃহে জন্মগ্রহণ করে ? তাহা না হইলে কি গরীব বাঙ্গালীর মেয়ে হইয়া, ফরিদপুর জেলার মধ্যে এই ক্ষুদ্র কাঞ্চনপুর পল্লীতে কৌলীয্যের বেড়া-জালের মধ্যে আটক পড়ে ? তাহা না হইলে এত সাধের মেয়েকে বিবাহ দিতে না পারিয়া পিতা, খুড়া গভীর মনঃকষ্টে নিরাশ を d) R