পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হউক, বিবাহের চিন্তা আর সে করিবে না, সুখের বাসনা, ত্যাগ করিয়া পিতামাতার সেবা, সংসারের কাজকৰ্ম্ম করিয়াই জীবন অতিবাহিত করিবে। যাহার প্রতিবিধান তাহার সাধ্যায়ত্ত নয়, তাহার জন্য হা হুতাশ করিয়া সে জীবন অশান্তিময়, ভারাক্রান্ত * করিবে না ; কিন্তু ভাগ্য-নিয়ন্ত তাহার জন্য যে পথ স্থির করিয়া রাখিয়াছেন, তাহা সে কেমন করিয়া অতিক্ৰম করিবে ? সেখানে ত তাহার দৃষ্টি চলে না ; ভবিষ্যতের যবনিকা উত্তোলন করিয়া তাহার কথা ত কেহ তাহাকে বলিয়া দিতে পারে। না। ;-এমন কেহ নাই, যিনি তাহাকে পূৰ্ব্বাহ্নে সাবধান করিয়া দিতে পারেন । তাহা হইলে ত আর কথাই ছিল না । যে ভয়ানক বিপদ লক্ষ্মীকে আক্রমণ করিতে আসিতেছে, তাহার সংবাদ কেহই তাহাকে দিতে পারে নাই,-মানুষের সে সাধ্য নাই। প্ৰতিদিন যেমন রাত্ৰিতে গৃহকৰ্ম্ম শেষ করিয়া সকলে বিশ্রাম করেন, আজও তেমনি সকলে রাত্রি আটটার পরেই শয্যা গ্ৰহণ করিলেন । পল্লী অঞ্চলে সকাল সকালই সকলের বাড়ীরই কাৰ্য্য শেষ হয় । রাত্ৰি ১০টার পরে অধিকাংশ পল্লীতেই জনমানবের সাড়া শব্দ থাকে না, সমস্ত গ্রামখানি নিদ্রার কোলে অঙ্গ ঢালিয়া দেয়। শুধু জাগিয়া থাকে চোর, আর কুক্ৰিয়াসক্ত মানব-দেহধারী ইতর জীব। সহরের বাড়ীঘর যেমন চারিদিকে আটকান থাকে, একটা কি দুইটী মাত্ৰ প্ৰবেশ দ্বার থাকে,-সেই দ্বার বন্ধ করিয়া o\؟