পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ বলিলেন, “না। হরি, বড় গিল্পী যা বলছেন, তাতে মনে হয়। লক্ষ্মী একঘণ্টা দেড়ঘণ্টা আগে ঘর থেকে বেরিয়েছে। এতক্ষণ সে বাইরে থাকবে কেন—আর এই রাত্রিতে।” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “হয় তা পুকুরে গিয়েছে। আমি পুকুরের দিকটা আর বাগানটা ভাল করে দেখে আসি ৷” হরেকৃষ্ণ পুকুর বাগান প্ৰভৃতি স্থান অনুসন্ধান করিয়া দশ মিনিট পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “কৈ না, কোথাও ত লক্ষ্মীকে দেখতে পেলাম না, কোন চিকু ও ত পেলাম না । এখন কি করা যায় ?” হরেকৃষ্ণ হতাশভাবে ঘরের মেঝোয় বসিয়া পড়িলেন। নীরব রজনী,-প্ৰকৃতি নীরব, গৃহের মধ্যে রামকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয় নীরবে শয্যায় উপবিষ্ট,-ধরাসনে তঁাচার স্নেহময় কনিষ্ঠভ্ৰাতা নীরব, দ্বারের পাশ্বে বসিয়া লক্ষ্মীস্বরূপিনী বড় গিয়ী নীরব,—তাহার পার্শ্বে করুণাময়ী ছোটবধু নীরব ;—আকাশের চন্দ্র ও নীরবে কিরণ বর্ষণ করিতেছিল । বাহিরে সকলেই নীরব ; কিন্তু এই নিশীথ সময়ে এই কয়টি মানবের হৃদয়ের মধ্যে যে ভীষণ আৰ্ত্তনাদ উঠিতেছিল, তাত যদি বাহির হইবার পথ পাহঁত, তাঙ্গা তইলে গ্রামের গগন-পবন সেই আৰ্ত্তনাদে পূর্ণ ত ইয়া যাইত। যাতার জন্য গভীর আর্তনাদ-এই প্ৰাণঘাতী হাঙ্গাকার, কোথায় সে । এই নীরব শোক-প্রবাঙ্গ হরেকৃষ্ণকে আকুল করিয়া তুলিল ; তিনি অধিকক্ষণ স্থির থাকিতে পারিলেন না। ;- কাতরকণ্ঠে বলিলেন, “কি হবে দাদা ?” RR