পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আপনি যাই বলুন দাদা, আমি কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি নে। লক্ষ্মী কিছুতেই আমাদের ছেড়ে যেতে পারে না-কিছু তই না। আজ সতরো বছর তাকে দেখে আসছি, একদিন আধ দিন নয়-সতরো বছর তাকে কোলে করে মানুষ করেছি। সে এমন হতেই পারে না । আপনি ও-কথা মনেও স্থান দেবেন। না। না, না, সে কিছুতেই সম্ভব নয়—কিছুতেই না। আপনার চুপ করে থাকুন। গোলমাল করে লোক জানাজানি করবেন। না । আমি একবার ভাল করে খুজে দেখে আসি। সারারাত্ৰি খুজে দেখািব-বন-জঙ্গল খুজে দেখব। তারপর যা হয় হবে ; যে বোঝা বইতে হয় বইব । বড় বেী, লণ্ঠনটা জেলে দাও ত ? কেঁদ না বড় বেী । লক্ষী আমাদের ছেড়ে যেতে পারে না । পুবের সূৰ্য্য পশ্চিমে উঠতে পারে, কিন্তু লক্ষ্মী কুলত্যাগিনী হতে পারে না,—তোমার মত সতীমায়ের মেয়ে কিছুতেই কুপথে যেতে পারে না বড় বীে ! এ আমার স্থির বিশ্বাস । তোমরা কিছু ভেব না। আমার মন বলছে, কিছু একটা দুৰ্ঘটনা হয়েছে। আমি যাই, আর বিলম্ব করব না। রাতও বোধ হয়। আর বেশী নেই। আমি যতক্ষণ ফিরে না আসি, তোমরা কিছু কোরো না ।” ছোটবেী ইতিমধ্যেই লণ্ঠন জ্বালিয়া আনিয়াছিল। হরেকৃষ্ণ যখন বাহির হইবেন, তখন রামকৃষ্ণ বলিলেন, “ভাই হরি, কেন আর কষ্ট করবে ? যা হবার তা হয়ে গিয়েছে, এখন অনর্থক পথে-পথে ঘুরে কি হবে ?” R(!