পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুরই অধিকারী নাহি। মা দুৰ্গা, দুৰ্গতিনাশিনী, ইহার অধিক আমার আর কি দুৰ্গতি হইতে পারে মা ! এইবার দুৰ্গতি নাশ কর-আমাকে কোলে টানিয়া লাও । আমার শরীর অপবিত্ৰ হইয়াছে ; কিন্তু তুমি ত জান মা ! আমার হৃদয় ত কলুষিত হয় নাই। এক একবার ঐ কথাই ত ভাবি-ঐ কথা ভাবিয়াই ত মনকে প্ৰবোধ দিতে চাই। ভাবি, দেহ কলুষিত হইয়াছে, তাতে কি ? আমার হৃদয়ে তা কলঙ্ক স্পর্শ করে নাই। আমি ত কুমারী-ধৰ্ম্ম স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিই নাই-সজ্ঞানে ত আমি কিছু করি নাই। তবে ভাবি কেন ? আমি যেমন ছিলাম, তাই আছি। স্বপ্নের মত সে রাত্রির ঘটনা মনে করি না কেন ? কিন্তু, তা যে পারি না,-কিছুতেই পারি না-মন যে প্ৰবোধ মানে না । থাকিয়া থাকিয়াই মনে হয়- আমি ত সে আমি নই। কিছুতেই যে সে কথা ভাবিতে পারি না--স্বপ্ন বলিয়া মনে করিতে পারি না । এমন কি কোন ঔষধ নাই, যাহাতে আমার জীব্লনের ঐ কাল রাত্রির সমস্ত স্মৃতি মুছিয়া দিতে পারে। না, না, এ স্মৃতি মুছিবার নহে-ইহা আমার আমরণ সঙ্গী থাকিবে । কি যে কষ্ট পাইতেছি—কি নরকযন্ত্রণা যে ভোগ করিতেছি, তাহা কি বলিয়া বুঝাইব । কাহাকেও যে বলিব, সোপথ ও আমার বন্ধ । সে দিনের ঘটনা যে সকলে গোপন করিয়াছে ; নতুবা কলঙ্কে যে দেশ ভরিয়া যাইবে । কেহ সে কথার উল্লেখ মাত্র ও করে না, তাহার কারণ কি আর আমি বুঝিতে পারি না । বাবা যখন আমার বিছানার ХОС.