পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড় কর্তা রামকৃষ্ণের মুখের দিকে চাহিয়াই কথাটা বুঝিতে পারিলেন ; বলিলেন, “হরি, তুমি আমার কথা মোটেই বুঝতে পার নাই, তোমার মুখ দেখেই তা জানতে পারা যাচ্ছে। তুমি এতবড় হয়েছ, কিন্তু আমাদের সমাজের মধ্যে যে গোপনে কত কি হয়ে থাকে, তার খবরও তুমি রাখ না। আমিই তোমাকে সাবধানে রেখে সে সব জানতে দিই নাই । তাই তুমি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে যােচ্ছ। তোমাকে একটা কথা বলি ; এই যে আমাদের কুলীনের ঘরের মেয়েরা কেহ বা চিরজীবন কুমারী থাকিয়াই জীবন কাটাইয়া দেয় ; কাহারও বা নামমাত্র বিবাহ হয় ; স্বামীর সহিত জীবনে হয় ত কাহারও দ্বিতীয়বার দেখাও হয় না ; কাহারও না সৌভাগ্যক্রমে জীবনের মধ্যে দুই চারিদিন দেখা হয়। এখন বল ত, এই সব মেয়েরা সকলেই কি পবিত্রভাবে জীবন যাপন করে থাকে ? হাঁ, এমন দুন্দশজন আছে, তারা দেবী, তারা প্রকৃতই ব্ৰহ্মচারিণী ভাবে নিষ্কলঙ্ক চরিত্রে জীবন কাটাইয়া যায় , কিন্তু অপরের কি অবস্থা হয়, তা কি কখনও ভেবে দেখেছি ? কোন দিন কি সে-দিকে তোমার দৃষ্টি পড়ে নাই ?” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “আমি ত কাহাকেও কোন অন্যায় ব্যবহার করিতে দেখি নাই, বা শুনি নাই। আমার বিশ্বাস, পবিত্ৰ ব্ৰাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া, ব্ৰাহ্মণ পিতা-মাতার ঔরসে জন্মলাভ করিয়া, কোন ব্ৰাহ্মণ-কন্যাই কুপথে যেতে পারে না । অন্ততঃ আমাদেব গ্রামে ত এমন দেখি নাই, বা শুনি নাই।” 86.