পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b পরদিনই গ্রামের সকলে শুনিল যে, শ্ৰীযুক্ত রামকৃষ্ণ বন্দ্যো“পাধ্যায় মহাশয় কাশীবাস করিতে যাইতেছেন। প্ৰতিবেশী বৃদ্ধ মধু ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় এই সংবাদ পাইবামাত্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়দিগের বাড়ীতে উপস্থিত হইলেন ; বড় কৰ্ত্তা ও হরেকৃষ্ণ তখন বাড়ীতেই ছিলেন । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “রাম, শুনে বড় সুখী হলাম যে, তুমি কাশী যাচ্ছি। অতি উত্তম সঙ্কল্প করেছ। আমাদের অদৃষ্টে ত নেই, আমাদের এই কাঞ্চনপুরের মাটী ধরেই থাকতে হবে । অদৃষ্ট না থাকলে কি হবে বল। এখনও অন্নচিন্তা গেল না। মনে করেছিলাম, ছোটটা বড় হোলো, যা হোক কিঞ্চিৎ লেখাপড়াও শিখাল ; দুপিয়সা নিয়ে আসবে, সংসারের ভার নেবে। সব আশাই বিফল হোলো। কাজকৰ্ম্ম কিছুই করবে না, সুধু খাবে, বেড়াবে, আর বাবুগিরি করবে। আরে, সে বাবুগিরির পয়সা যে কোথা থেকে আসবে, তা ত ভাবে না। কিছু বলবারও যো নেই-জান ত রাম, তোমার জেঠীমার স্বভাব-একটু কিছু বলতে গেলেই তিনি একেবারে জ্বলে ওঠেন, বলেন, ‘সাতটা নয়। পাঁচটা নয়, ছয়মেয়ের মধ্যে ঐ একটা মাত্র ছেলে, ওকে কিছু বলতে WV o