পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে ; তুমি আর কত দেখতে পার। সে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা আছি ; বিপদ-আপদে সবাই বুক দিয়ে পড়বে। তুমি ত আর কিছুরই অসদ্ভাব রেখে যােচ্ছ না ; যা জমিজমা আছে, তাতে বেশ চলে যায়, তা ছাড়া যা শিষ্যযজমােনও ত কম নেই ;- তোমার অভাব কি বল ?” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “সেই আশীৰ্ব্বাদ করবেন, হরেকৃষ্ণ যেন সব চালিয়ে নিতে পারে। ঘরে ত আর দুশ পাঁচশ মজুত নেই ; আপনাদের আশীৰ্ব্বাদে কোন রকমে দিন চলে যায়, এইমাত্ৰ ।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “কাশীতে তোমাদের তিনটি মানুষের খরচও ত নিতান্ত পক্ষে মাসে ত্রিশটাকার কম হবে না ।” হরেকৃষ্ণ বলিলেন “হঁ, মাসে ত্ৰিশটাকা করেই পাঠিয়ে দেব স্থির করেছি।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “তা, সে আর বেশী কি ? তোমাদের যে সব শিষ্য আছে, তাদের মধ্যে এমনও দুই চার জন আছেন, যারা আনন্দের সঙ্গে এই কাশীবাসের খরচ দিতে রাজী হবে। তুমি যে কাশী যাবার ইচ্ছে করেছ, এ সংবাদ শিষ্যদের জানানো উচিত ।” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “সে কথা আমিও ভেবেছি। আজই সকলকে চিঠি লিখব ; নইলে তারা মনে কষ্ট করবে।” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “সকলকেই একবার আসতে লিখে দিও। যাবার সময় সকলকেই আশীৰ্ব্বাদ করে যেতে হবে ; তারা আমাকে বড়ই ভক্তি করে ” QR