পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “তুমি ত আর পেশাদার গুরুগিরি করা না ; তুমি শিষ্যদের যথেষ্ট ভালবাস, তাদের মঙ্গলকামনা কর, তাই তারা তোমাকে শ্রদ্ধাভক্তি করে। এখন যে সব গুরু দেখতে পাও, জান হরেকৃষ্ণ, তারা লেখাপড়া জানে না, শাস্ত্ৰজ্ঞান ত মোটেই নেই, অনেকে এমম দুশ্চরিত্র যে, তাদের নাম মনে হলেও ঘূণা হয় ; এদিকে শিষ্যের কাছ থেকে পয়সা আদায়ের ফিকির খুব জানে। তাতেই তা এখানকার শিষ্যদের গুরুভক্তিও কমে যাচ্ছে। তুমি ত তেমন নও।” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “আমি এ জীবনে কখন কোন শিষ্যের কাছে কিছু চাই নাই ; যে যা দেয়, তাই হাসিমুখে নিই। এই সেবার গোলোক করের মাতৃশ্ৰাদ্ধে গেলাম। গোলোকের অবস্থা বেশ ভাল ; খুব ঘটা করে শ্রাদ্ধ করল । পুরোহিত ও অন্যান্য ব্ৰাহ্মণের এমন ব্যবহার করতে লাগল যে, দেখে আমার লজ্জা হোতে লাগল ;-সুধু দেও, আর দেও,--আর এটা ভাল হয় নাই, ওটা ভাল হয় নাই, বলে বিরক্তি প্ৰকাশ। এতে শিষ্যযজমানের আর ভক্তি থাকে কি করে ? এই পুরোহিত আবার এমনই নিলজি, যে আমাকে পরামর্শ দিতে লাগল, আমি যেন সব বেশী বেশী করে দিতে বলি। তা, কাক, আপনার আশীৰ্বাদে অত লোভ আমার নেই ; আমি বরঞ্চ তাদের নিরস্ত করতে লাগলাম। গোলোক যে ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতদের এত দিল, পুরোহিতকে যথাতিরিক্ত দিল, তবু তাদের মন উঠল না । আর আমাকে যা দিল, আমি তাই যথেষ্ট বলে হাসিমুখে গ্ৰহণ করলাম। WNJ)