পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার ব্যবস্থা কর’। কৈ, এমন কথা ত এক বারও আপনি বলেন। নাই। ছোটঠাকুর মহাশয় আপনারই ভাই। তিনিও কিছু বলবেন না, বা জানাবেন না, এ আমি ঠিক জানি। সেবার আমার স্ত্রী এসে নূতন একটা কোঠা করে দেবার জন্য কত অনুরোধ করলেন ; আপনি বললেন, “যা আছে, তাতেই বেশ চলে যাচ্ছে, আর কোঠা কেন ? হরেকৃষ্ণের ছেলেপিলে হলে যখন স্থানের অকুলীন হবে, তখন করে দিও” । কেমন, এই ত আপনার কথা । তা হলে আর প্রকৃত ভার কি দিলেন। যাক সে কথা ; আমি বলি কি, এই যাওয়ার যা খরচ-এটা ছোটঠাকুর মহাশয় দিতে পারবেন না, আমি দেব। আর মাসে-মাসে কাশীতে যে খরচ হবে, তাও আমাকে দেবার অনুমতি করে যান। ছোটঠাকুর মহাশয়ের উপর এত ভার চাপাবেন না।” বড় কর্তা বলিলেন, “গোলোক, তুমি যা বলছি, সে তোমারই মত লোকের উপযুক্ত কথা ; কিন্তু তোমাদের কল্যাণে, তোমাদেরই ভক্তির জোরে, হরেকৃষ্ণ অনায়াসে এ সব করতে পারবে। তুমি ভেবে দেখ, আমরা চাকরী করি না। ;-তোমরা যা দেও, তাতেই চলে। হরেকৃষ্ণ যা দেবে, সে কি তার টাকা, না সে তোমাদেরই দত্ত টাকা। তবে আর পৃথক করে দিতে চাইছ কেন ? এই এখনই ত বলেছি, হরেকৃষ্ণের উন্নতির ভারই তোমার উপর দিয়ে যাচ্ছি। পাথেয় দিতে চাইছ। আমার অন্য শিষ্যরা এসেছিলেন, এই রামকুমার দত্ত, শিরোমণি বসু, রসিক পাল তোমারই পাশে বসে আছে । এদের অবস্থা তোমার মত না হ’লেও বেশ সচ্ছল। Sabr