পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেলেছেন, তিনিই উদ্ধার করবেন ; আর তার যদি ইচ্ছা হয়, আরও বিপদে ফেলবেন । রাখতে হয় তিনি রাখবেন, মারতে হয় তিনি মারবেন। তুমি মনে করছ কাকীমা, আমি এত কথা শিখলাম কোথা থেকে । আমি আজ এই কয়মাসে দশ " বছর বয়স বাড়িয়ে ফেলেছি । আমি দিনরাত ভেবেছি । অনেক ভেবে-চিন্তে যা বুঝেছি, তাই আজ তোমাকে বললাম কাকামা ! আর হয় ত তোমার সঙ্গে দেখা না হতে পারে, --আর হয় ত তোমাকে কাকীমা বলে, তোমার কোলে মাথা রেখে সব শোক - তাপ ভুলে যেতে না পারি। কাকীমা ! কিন্তু জেনে রেখো, যত বিপদ হোক, যত দুৰ্গতি হোক, তোমাদের স্নেহের বলে আমি কাটিয়ে উঠব। আর যদি প্ৰাণ যায়, তখনও কাকীমা, তোমাদের কপাই--তোমাদের স্নেহের কথাই মনে করতে করতে জীবন বিসর্জন করব। আমার মৃত্যু-সংবাদ শুনলে কাকীমা, তুমি একটু চোখের জল ফেলো ! অদৃষ্টে নেই, সংসারধৰ্ম্ম করতে পেলাম না ; কিন্তু আশা কদাদ কোরো, আমি আজি যে সাহসে বুক বেঁধে অকৃলি সাগরে ঝাপ দিতে যাচ্ছি, এই সাহস, এই নারীধৰ্ম্মের তেজ যেন মরণ পৰ্যন্ত আমার সঙ্গে २ाgक ।” ছোট-বো। আর কথা বলিতে পারিলেন না ; তিনি লক্ষ্মীকে বুকের মধ্যে জড়াইয়া ধরিলেন। লক্ষ্মীর মনে হইল, মা জগজননী জগদ্ধাত্রী যেন স্নেহের অভেদ্য বন্মে তাহাকে আবৃত করিয়া দিল ; তঁাহার কয়েক বিন্দু অশ্রু লক্ষ্মীর মস্তকে পড়িল : z o