পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ । পিতলের গোপালের, পরম আদর । নিৰ্ম্মাণু করছ শিব, কাটিয়া পাথর ॥ লইয়া পিত্তল খও, মাখাও চন্দন ৷ ” মনে মনে ভাব তায়, নন্দের নন্দন ॥ ঘাটিয়া প্রস্তর কাসা, যোগী যদি হয় । কাসারি ভাস্কর তবে, যোগী কেন নয় ৪ সুখ দুখ কিছু মাত্র, বোধ নাই মনে । সমভাবে একা তুমি, বাস কর বনে ॥ দিরানিশি ধরাসনে, মুদিয়া নয়ন । কণ্টক তৃণের পুষ্ঠে, সুখেতে শয়ন ॥ গোপনে নিবিড় স্থানে, আছ মাত্র এক । মামুষের সঙ্গে আর, নাহি হয় দেখা ৷ এরূপ বিরল ভাবে, বাস করি বনে । সিন্ধ হয়ে বিভু পায়, ভ্রম মাত্র মনে ॥ নিয়ত নির্জন হয়ে, বনবাসে রয়। ভল্লুক শার্দুল তবে, যোগী কেন নয় ? শরীরে বিশেষ চিহ্ন, করিয়া প্রকাশ । বাহিরে জানাও স্বীয়, ধর্মের আভাস ॥ ৰাধ্য করি নিজ মতে, বদ্ধ করি দল । বিস্তার করিছ ক্রমে, যত যুক্তি বল ।