পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত। > দেশকাল গুণে এ সাহসের পরিণাম—হোগলকুড়িয়ার বসিয়া কবিতা লেখা ! ঈশ্বরচন্দ্রের বয়ঃক্রম যৎকালে ১০ বর্ষ, সেই সময়ে উাহার মাতার মৃত্যু হয়। স্ত্রীবিয়োগের কিছু দিন পরেই উছার পিতা হরিনারয়ণ দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন । তিনি বিবাহ করিয়া শ্বশুরালয় হইতে বাট না আসিয়া কাৰ্য্যস্থলে গমন করেন । নব বধু একাকিনী কঁচরাপাড়ার বাটতে আসিলে, হরিনাররণের বিমাত ( মাতা জীবিত ছিলেন না ) ভঁাহাকে বরণ করিয়া লইতেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র সেই সময়ে যাহা করিয়াছিলেন, তাহ ভঁছার চরিত্রের উপযোগী বটে। ঈশ্বর চন্দ্রের এই মহৎ গুণ ছিল, যে তিনি খাটি জিনিষ বড় ভাল বাসিতেন, মেকির বড় শক্র । এই সংগ্রহস্থিত কবিতা গুলি পড়িলেই পাঠক দেখিতে পাইবেন, যে কবি মেকির বড় শক্ৰ—সকল রকম মেকির উপর তিনি গালি বর্ষণ করিতে ছেন—গবর্ণর জেনরুল হইতে কলিকাতার মুটে পর্যন্ত কাহারও মাফ নাই। এই বিমাতার আগমনে কবির সঙ্গে মেকির প্ৰথম সন্মুখ সাক্ষাৎ। খাটি মা কোথায় চলিয়া গিয়াছে— তাছার স্থানে একটা মেকি মা আসিয়া দাড়াইল । মেকির শক্ৰ ঈশ্বরচন্দ্রের রাগ আর সহ হইল না, এক গাছ ৰুল লইয়। স্বীয় বিমাতাকে লক্ষ্য করিয়া বিষম বেগে তিনি নিক্ষেপ করিলেন। কবিপ্রযুক্ত ৰূল সৌভাগ্যক্রমে,