এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি ঘোমটার ভিতর হইতে উহাকে খর দৃষ্টিতে দেখিঙ্গে ছিলাম, এমত সময়ে তিনি মুখ তুলিলেন-দেখিতে পাইলেন যে আমি ঘোমটার ভিতর হইতে তাহার প্রতি তীব্র বৃষ্টিতে চাহিয়া আছি । পুরুষে বলিয়া থাকেন, যে অন্ধকারে প্রদীপের মঞ্জ, অবগুণ্ঠনমধ্যে রমণীর কটাক্ষ অধিকতর জীব্ৰ দেখায়। বোধ হয়, ইনিও সেইরূপ দেখিয় থাকিবেন- তিনি একটু মাত্র মৃছ হাসিয়া, মুখ নত করিলেন। সে হার্সি কেবল আমিই দেখিতে পাইলাম। আমি সমুদায় মাংস তাহার পাতে ফেলিয়া দিয়া চলিয়া আসিলাম । - আমি একটু লজ্জিত, একটু সুখী হইয়া আসিলাম । লজ্জার মাথা খেয়ে বলিতে হইল—আমি নিতান্ত একটুকু মুখী হইয়া আসিলাম না ; আমার নারীজন্মে প্রথম এই হাসি-আর কখন কেহ আমাকে দেখিয়া মধুর হাসি হাসে নাই । আর সকলের হাসি বিষ লাগিয়াছিল । - . * এতক্ষণ বোধ হয়, পতিব্ৰতামণ্ডলী আমার উপর দ্রভঙ্গী করিতেছেন এবং বুলিতেছেন, পাপিষ্ঠে, এ যে অনুরাগ। আমি স্বীকার করিতেছি, এ অনুরাগ। কিন্তু আমি সধবা হইয়াও জন্মবিধবা। বিবাহের সময়ে একবার মাত্র স্বামিসনদর্শন হইয়াছিল: —মুতরাং যৌবনের প্রবৃত্তি সকল অপরিতৃপ্ত ছিল। এমন: গভীর জলে ক্ষেপণী নিক্ষেপেই যে তরঙ্গ উঠিবে,তাহাতে बिल्लेिख কি ? . . . - o আমি স্বীকার করিতেছি যে এ কথা বলিয়া আমি দোষশূন্ত । হইতে পারিতেছি না। সকারণে হউক, আর নিষ্কারণেই হউক, পাপ সকল অবস্থাতেই পাপ । পাপের নৈমিত্তিকৃত নাই । কিন্তু আমার জন্মের মধ্যে এই প্রথম পাপ ও এই শেষ পাপ । পাকশালায় ফিরিদ্ধা অলিম্ব আমার যেন মনে হইল, আ:ি