পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । S ማ (፩ করিয়া রাখিয়াছ এবং সমগ্ৰ ভুবনকে প্ৰদীপ্ত করিতেছ। যৎকালে বিচিত্ৰ সূৰ্য্য আকাশে জ্যোতিঃ দান করিয়া বিচরণ করিতে থাকে, তৎকালে তোমাদেরই “মায়া” আকাশে প্ৰকাশ পায়। আবার তোমরা মেঘের দ্বারা যখন সেই সূৰ্য্যকে আকাশে আবৃত করিয়া দাও, তখনও তোমাদেরই মায়া আকাশে প্ৰকটিত হয়। যখন মধুময়ী বৃষ্টি-ধারা বর্ষিত হইতে থাকে, তখন তোমাদের মায়া আকাশে প্রকািটত হয়। স প্রাচীন ন পৰ্ব্ব তান দৃংহদোজসা, অপরাচীন মকরোদপামপঃ । অধারায়ৎ পুথিবং বিশ্বপায়স মাস্তম্ভ ল্মায়য়া দামবাস্ত্ৰসঃ ॥২১৭ ৫ ইন্দ্ৰ পুরাতন পর্দাঁত-সকলকে আপনি বল দ্বারা দৃঢ় করিয়াছেন, মেঘস্থ জলরাশিকে নিম্নাভিমুখে প্রেরণ করিয়াছেন ; বিশ্বধাত্রী পৃথিবীকে ধারণ করিয়া রাখিয়াছেন ; দুর্য্যলোককে পতন হইতে স্তম্ভিত করিয়া রাখিয়াছেন । এ সকলই ইন্দ্রের “মায়ার” দ্বারা সম্পন্ন হইয়াছে । পাঠক দেখিতে পাইতেছেন কি অর্থে ঋগ্বেদে “মায়া' শব্দটী ব্যবহৃত হইয়াছে । বিবিধ রূপান্তর ধারণা করিয়া যে বিবিধ প্রকার ক্রিয়া করিবার সামর্থ্য-তাহারই নাম “মায়’। শঙ্করাচাৰ্য্যও যে এই উদ্দেশ্যেই মায়া শব্দের প্রয়োগ করিয়াছেন, তাহা “উপনিষদের উপদেশ” গ্রন্থের পাঠক অবশ্যই দেখিয়াছেন। আমরা মায়া-শব্দের অর্থ নির্ণয় করার পরে, এখন ইন্দ্র সম্বন্ধে দুইটী সুপ্রিসিদ্ধ মন্ত্র উদ্ধত করিব—