পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R উপনিষদের উপদেশ । হইয়াছে। সুতরাং এই দুই প্রকার দৃষ্টির মধ্যে প্রকৃত কোন বিরোধ নাই।* অজ্ঞ সাধারণ লোক যে ভাবে এই জগৎকে ভব করিয়া থাকে, তাহার নাম ‘ব্যবহারিক দৃষ্টি”। আর, তত্ত্বজ্ঞ দার্শনিক যে ভাবে এই জগৎকে দেখিয়া থাকেন, তাহার নাম ‘পরমাৰ্থ দৃষ্টি” । সুতরাং উভয়ে কোন বিরোধ নাই ; বরং উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রহিয়াছে । তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি, এই নাম রূপাত্মক জগতে কেবলমাত্ৰ এক ব্ৰহ্ম-সত্তাই অনুসৃত দেখিতে পান। সূৰ্য্য চন্দ্র, তরুলতা, কীট পতঙ্গ, দেহেন্দ্ৰিয়াদি-বিবিধ ও অসংখ্য নাম রূপাত্মক পদার্থ লইয়াই এই জগৎ । তত্ত্বদর্শিগণ, এই সকল বস্তুর কাহারই “স্বতন্ত্র, স্বাধীন সত্তা অনুভব করিতে পারেন না । তাহারা ভাবেন যে, সকল পদার্থের মধ্যেই এক কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্ম-সত্তা অনুসৃত হইয়া রহিয়াছেন । এই কারণ-সন্তাতেই কাৰ্য্যবর্গের সত্তা। ;-ব্ৰহ্মসত্তাতেই নােমরূপগুলির সত্তা । উহাদের কাহারই নিজের কোন স্বতন্ত্র স্বাধীন সস্তা নাই । industra rrrrr * FAHAH حشد e=ীয়

  • র্যথা পুরো বৰ্ত্তিন ভূজ গাভাবমনু ভবন বিবেকী-নাস্তি ভুজঙ্গে। রজ রেষা কথং বুথৈব বিভেযাতি’-ভ্ৰান্তমভিদ ধাৰিত । দ্রান্ত স্তু স্বকীয়াপরাধাদেব ভুজঙ্গং পরিকল্প্য ভ’ ৩; সন পলায়াতে ; নাচ ৩ত্র বিবেকিনো বচনং মূঢ়দৃষ্টা বিরুধতে । তথা পরমাত্মকুটস্তাত্মদৰ্শনং ব্যবহারিকজনাদি-বচনেন অবিরুদ্ধম।--মাণ্ড, ক্যকারিকাভায্যে আনন্দ গিরি ৪৫৭ তৈং ( দ্বৈতৈ: ) সৰ্ব্বানন্তত্বাৎ আত্মৈকত্বদর্শনপক্ষে। ন বিরুধতে ।” মাণ্ডুক্যকারিকার শঙ্করভাষ্য ৩৷৷ ১৭-১৮ ।