পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিদ্যা ও বিদ্যা । এই আত্মবিস্তু সর্বদা একরূপ, নির্বিকার, পূর্ণ। প্ৰকৃতপক্ষে ইনি পূর্ণ, আচল ; কিন্তু ইন্দ্ৰিয়াদির ক্রিয়াদ্বারা লোকে ইহঁাকে সচল, ক্রিয়াশীল বলিয়া মনে করিয়া থাকে * । ইনি বহু দূরে অবস্থিত-অজ্ঞানীরা ইহঁাকে কোটি বর্ষকালেও বুঝিতে পারে না । আবার ইনি আত নিকটে বৰ্ত্তমানতত্ত্বদর্শীগণ ইহঁাকে সকল পদার্থের মূল-সত্তা বলিয়াই অনুভব করিয়া থাকেন। আকাশ যেমন সকল পদার্থের বাহির ও ভিতর ব্যাপিয়া বৰ্ত্তমান, আত্ম-সত্তাও তদ্রুপ এই নাম-রূপাত্মক বিশ্বের সকল পদার্থের বাহিরে ও ভিতরে ব্যাপ্ত হইয়া অবস্থিত । কেননা, ইহঁরই সত্তা সকল বস্তুর মধ্যে অনুপ্ৰবিষ্ট এবং LS S CuA TrMLL S TSMSM LMT LMLM LLL LLLLLLLTL বিশেষ মাত্র । কিন্তু অবস্থান্তর দ্বারা কারণ-সত্তার কোনই ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না । ইহাই শঙ্করের মীমাংসা । “নহি বিশেষ-দর্শনমাত্ৰেণ বস্তু ন্যত্বং ভবতি .....স এবেতি প্ৰত্যভিজ্ঞানাৎ”-বেদান্তভাষ্য । পরমার্থদৃষ্টিতে বিকারগুলি দৃষ্টিপথে পতিত হয় না ; বিকারগুলিকে কারণসত্তার অবস্থান্তরী-মাত্র রূপে প্ৰতীতি হয়। সুতরাং এক কারণ-সত্তা ব্যতীত বিশ্বে কোন বস্তুই অনুভূত হয় না। শঙ্কর বৈজ্ঞানিকেরও পারমার্থিকের চক্ষু লইয়াই এ জগৎকে দেখিতেন।

  • “আত্মন একরূপত্বাৎ স্বরূপ-প্ৰাচ্যবিনাহসম্ভবাৎ”। যদ্ধি সাবয়বং

বস্তু তদাবয়ব-বৈষমং জায়তে ইত্যুচ্যতে। ইন্দন্তু নিরবয়বত্বাৎ সমতাঙ্গীতমিতি ন কৈশ্চিন্দবয়বৈঃ স্মৃটিতীতি”—গৌড়পাদ ভাষ্য, ৩২ সাবয়ব বস্তুর যে খণ্ড খণ্ড ‘ক্রিয়া’ তাহাই নিষিদ্ধ হইয়াছে ; “পূর্ণশক্তি স্বরূপত্ব’ নিষিদ্ধ হয় নাই। এই অর্থেই তিনি “আচল’ । R