পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

З o উপনিষদের উপদেশ। পদার্থ সকলকে যথাযথভাবে বিভাগ করিয়া দিতেছেন । ইহাই প্ৰকৃত আত্ম-তত্ত্ব। এইরূপ আত্ম-তত্ত্বের বোধ লাভ করিতে যিনি সমর্থ তিনি দেহান্তে কোন লোক-বিশেষে গমন করেন না। ব্ৰহ্মভুত হইয়া অবস্থান করেন। তিনি মুক্ত হইয়া যান ।” ー>>*<<。ー আমরা এই অধ্যায়ে যে সকল উপদেশ পাইয়াছি, এস্থলে তাহার একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা প্ৰদত্ত হইল ঃ ১ । সংসারে প্রধানতঃ দুইশ্রেণী মনুষ্য দেখিতে পাওয়া যায়। ( ক) যাহার। স্বাভাবিক প্ৰবৃত্তিবশে চালিত হইয়া, ধন-জনাদি বস্তু ও আত্ম-সুখ লইয়াই ব্যস্ত থাকে । (খ ) যাহারা স্বাভাবিক প্ৰকৃত্তি-বশে চালিত হইয়া, জড় প্রকৃতির অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণে যাবজ্জীবন ব্যস্ত থাকে । ইহাদের চিত্তে ব্ৰহ্ম-জ্ঞান সঞ্চারিত হয় না । ২ । কৰ্ম্মের সঙ্গে দেবতার জ্ঞান ও উপাসনা যোগ করিয়া লওয়া কৰ্ত্তব্য। ( ক ) দেবতাবৰ্গকে স্বতন্ত্র বস্তু বোধে উপাসনা । এই প্ৰকার সাধকই “কেবল-কৰ্ম্মী’ । (খ) দেবতা বর্গ কারণ-সত্তারই অভিব্যক্তি-এই বোধে উপাসনা । এই প্ৰকার উপাসনায় এখনও দেবতা বর্গের স্বাতন্ত্র্যবোধ তিরোহিত হয় নাই। কিন্তু কারণ-সত্তার দিকে চিত্ত ধাবিত হইয়াছে। ইহঁর “জ্ঞান-বিশিষ্ট কৰ্ম্মী।”