পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষদের উপদেশ । وع : মধ্যে ব্ৰহ্ম-সত্তারই অনুভব করিতে আরম্ভ করেন এবং ব্ৰহ্মপ্ৰাপ্তিই উদ্দেশ্য হইয়া উঠে । এইরূপে ক্ৰমে সকল পদার্থে ব্ৰহ্মসত্তার বোধ হইতে থাকে। কোন বস্তুকেই আর স্বতন্ত্র, স্বাধীন বলিয়া মনে হয় না। ঈদৃশ সাধক, ভাবনাত্মক-যজ্ঞ নিৰ্ব্বাহের অধিকারী হন। ইহঁরা যজ্ঞীয় অগ্নিতে ব্ৰহ্মসত্তাই দেখিতে পান, বৈদিক মস্ত্ৰে প্ৰাণশক্তিরই বিকাশ অনুভব করিতে থাকেন। এরূপ সাধকের উপযোগী সূক্ত ঋগ্বেদে বহু প্ৰকার দেখিতে পাওয়া যায়। উপনিষদে প্ৰথমোক্ত সকাম সাধাকদিগকে “কেবল-কাশ্মী” বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে এবং দ্বিতীয়োক্ত সাধকদিগকে “কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের সমুচ্চয়কারী” বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে। এই জন্যই বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠান নিস্ফল নহে। তৎপরে, যখন এই প্রকারে সাধকের চিত্ত ক্ৰমেই নিৰ্ম্মল হইতে আরম্ভ করিল, তখন আর বাহিক যজ্ঞাদি আচরণের কোন আবশ্যকতা থাকে না । তখন ক্রমেই সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বপদার্থে ব্ৰহ্ম-সত্তা অনুভূত হইতে থাকেন। ইহাই জ্ঞানমাৰ্গ। এখন আর কোন বস্তুরই স্বতন্ত্র সত্তার প্ৰতীতি হয় না । বিশ্বসংসারে একমাত্র ব্ৰহ্ম -সত্তাই জাগরূক বলিয়া প্ৰতীতি জন্মে। সর্বত্র অদ্বৈত-বোধের প্রতিষ্ঠালাভ করে। শঙ্করাচাৰ্য্য এই প্রকার জ্ঞানের সঙ্গেই কৰ্ম্মের সমুচ্চয় নিষেধ করিয়াছেন। এই প্রকার সমুন্নত সাধকের উপযুক্ত সুক্ত ঋগ্বেদে অনেক আছে। উপনিষদের এই প্রকার সিদ্ধান্ত, মূলতঃ ঋগেদের সিদ্ধান্তেরই অনুরূপ। সাধকের যেমন প্রধানতঃ তিন শ্রেণীর উল্লেখ করা হইল, ঋগ্বেদে প্ৰায় প্ৰত্যেক মণ্ডলেই এই তিন শ্রেণীর সাধকের উপযোগী তিন শ্রেণী সুক্তও পরিদৃষ্ট হইয়া থাকে। কেহ কেহ যে সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, ব্ৰহ্মের একত্ব-বোধ, উন্নত জ্ঞানকাণ্ডের সাধনা, ঋগ্বেদে