পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য পিপ্ল্যলাদের উপদেশ ! gunung শক্তি তাহাতে একাকার হইয়া-জ্ঞানাকারে-অবস্থান করি।- তেছিল, তাহার ইচ্ছাবশতঃ, সেই শক্তির অভিব্যক্তি হইবার উন্মুখাবস্থা • হইল। নির্বিশেষ ব্ৰহ্ম-সত্তার, সৃষ্টির প্রাক্কালীন, এই অবস্থা-বিশেষকে ‘’ লক্ষ্য করিয়াই, ইহাকে “অব্যক্ত-শক্তি’ বলা হইয়া থাকে। বস্তুতঃ ইহা “স্বতন্ত্ৰ’ কোন বস্তু নহে ; ইহা সেই পূৰ্ণ শক্তি ব্যতীত আর কিছুই নহে। এই অব্যক্ত-শক্তি যখন সর্ব-প্ৰথমে সূক্ষ-রূপে ব্যক্তি হইল, তাহারই নাম হিরণ্য LLL LLLL S S SLLSLLLLLLLLS YLLLLSLLLLLLLS LLL LL LLL LLLL LL LLLLLL s এই ‘আগন্তুক’ আলোচনাকে লক্ষ্য করিয়া, “তপঃ’ বলিয়া উহার একটী ভিন্ন সংজ্ঞা প্রদত্ত হইয়াছে। ফলতঃ ইহ। সেই পুর্ণজ্ঞান ব্যতীত অন্য কোন জ্ঞান নহে। আগন্তুক ঋলিয়াই ইহাকে জ্ঞানের বিকার বলা হয়। “যস্য জ্ঞানময়ং জ্ঞানবিকারমেব তপঃ”-মুণ্ডক-ভাষ্য, ১॥১৯

  • শঙ্কর ইহাকে “জায়মান অবস্থা”, “ব্যাচিকীৰ্ষিত-অবস্থা” বলিয়াছেন (মুণ্ডক-ভাষ্য, ১ ১/৮ ও বেদান্তভাষ্য, ১৷৷১২১) । ইহাই জগতের প্রাগবস্থা । ইহাকে ‘বীজশক্ত্যিবস্থা’ ও বলা হইয়াছে ( বেদান্তভাষ্য, ১।৪২)। রত্ন প্ৰভা ইহাকে “সর্গোমুখ পরিণাম’ বলিয়াছেন।

+ ইহাই জগতের পূর্বাবস্থা, সুতরাং ইহাই জগতের “কারণ”। “প্রাগবস্থং জগতঃ কারণত্বেন অভু্যুপগচ্ছামঃ” ইত্যাদি, বেদান্ত-ভাষ্য, ১৪।৩। কাৰ্য্যের যাহা “কারণ’, তাহা কাৰ্য্যের “শক্তি’ ; সুতরাং এই শক্তিই জগতের উপাদান। “কারণস্য আত্মভূত ‘শক্তিঃ’, শক্তেশ্চ আত্মভূতং কাৰ্য্যমূ”-বেদান্তভাষ্য, ২॥১১৮। ইহা পূর্ণশক্তি ব্যতীত ‘স্বতন্ত্র’ কোন বস্তু নহে। সেই পূর্ণ নির্বিশেষ ব্ৰহ্মসত্তাই ইহাতে অনুস্থ্যত । “কাৰ্য্যোয়ু বিদ্যমানমপি কারণ-স্বরূপং, তৎকাৰ্য্যাকার-তিরো