পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

的出 উপনিষদের উপদেশ । ইহাদিগকে “অমৃতের নাভি।” রূপে বিবেচনা করেন । [ “অমৃতের নাভি”-কাহাকে বলে ? অবিনাশী কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্মসত্তা ইহাদের মধ্যেই অনুস্থ্যত রহিয়াছে। সুতরাং অগ্নি-সোমাই-অমৃতের নাভি। ] এই প্রকারে অসংখ্য মন্ত্র উদ্ধত করিয়া দেখান। যাইতে পারে যে, এই সকল মন্ত্ৰ কদাপি জড় বস্তুর প্রতি প্ৰযুক্ত হয় নাই। এ সকল মন্ত্র অত্যন্ত স্পষ্ট-ভাষায় অগ্নি-সোমকে স্থলবিশ্বের উপাদান-কারণ বলিয়াই উদূঘোষিত করিতেছে। ইহাৱা যে মূলে চেতন-সত্তারই রূপান্তর, সুতরাং চেতন, তাহা ও বহুমন্ত্রে দেদীপ্যমান আছে। তৎ-সম্বন্ধে দুই একটা মাত্র মন্ত্র উদ্ধ, তি হইতেছে :- “ধং সোমা ! প্ৰচিকিতো মনীষা স্কং রজিষ্ঠ মানুনেষি পন্তাষ । তব প্রণীত পিতরে না ইন্দো । দেবেন্ধু রত্নমভজন্ত দেবাঃ ৷ ১৯১১ হে সোম! তুমি আপনার জ্ঞানে সকল পদার্থকেই প্রকৃষ্টরূপে জানিতে পারিতেছ। বিশ্বের যে একটা ঋজু মাৰ্গ আছে, তুমি সে মার্গের বিষয়ে অবগত আছ এবং তুমি সেই পথ দিয়াই জীবকে লইয়া যাও। হে ইন্দো ! হে সোম ! তোমার প্রদর্শিত নীতি ও পথ অবলম্বন করিয়াই আমাদের পিতৃ-পুরুষগণ, দেবলোকে দেবাসাযুজ্য পাইয়া, রত্ন-লাভে সমর্থ হইয়াছেন । অগ্নি সম্বন্ধে মন্ত্র দেখুন :- “স ইৎ তন্তুং স বিজানাতি ওতুং, স বক্তানি ঋতুৰ্থ বদতি।